ভোটে ১৯ নিহতের পরিবারকে হোমগার্ডের চাকরি ও আর্থিক সাহায্য মমতার! ‘প্রায়শ্চিত্য করছেন’, খোঁচা বিরোধীদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (3 Tier Panchayat Election) জেলায় জেলায় এখন সবুজ ঝড়। গ্রামবাংলার মাটিতে এখন ফুটে রয়েছে জোড়া ফুল। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সর্বত্র চমকপ্রদ ফল করেছে। কিন্তু এরই সঙ্গে হয়েছে দেদার হিংসা। প্রশ্ন উঠে যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের পরিবারের কী হবে? প্রাণ ফিরিয়ে দিতে না পারলেও ‌নিহতের পরিবারগুলি যাতে ভেসে না যায় তাই পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

রাজ্যে পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে গ্রাম বাংলার পরিস্থিতি। পঞ্চায়েতের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। আসে মৃত্যুর খবর। ভাঙড় হয়ে ওঠে সংঘর্ষের মূল কেন্দ্রবিন্দু।

গত ৮ জুলাই শনিবার ছিল এক দফায় ২২ টি জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট প্রক্রিয়ার আগে থেকেই শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচনের (১০ জুলাই) অব্যাহত থাকে সেই একই পরিস্থিতি। এবং গতকাল শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত গণনা এবং তাতেও ফের ঝরেছে প্রাণ। গতকাল রাতে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, মৃত আরও ৩। আজ গণনার দ্বিতীয় দিনে মৃতের সংখ্যা ৪৭। মনোনয়ন এর শুরু থেকে আজ অবধি (গত ৩৫ দিনে) রাজ্যে ভোটের বলি ৪৭!

mamata 2

এবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত ঘটনায় কয়েকজন মারা গেছে, আমি দুঃখিত।’ এছাড়াও মমতা বলেন, ‘আমরা কী অপরাধ করেছি? বিরোধী থাকার সময় শুধু মার খেয়েছি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিদ্বেষমূলক মনোভাব। আমি অপরাধ করলে শাস্তি দিন, মেনে নেব, কিন্তু এত মিথ্যে!’সমালোচনা-কুৎসা করে শক্তি বাড়িয়েছে বিরোধীরা, এজন্য ধন্যবাদ। আমি সারাজীবন শান্তি নিয়ে কলম ধরেছি। পঞ্চায়েতের ফল বেরিয়েছে, অপরাধ করলে মেনে নেব।“

বেসরকারি মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে রাজনৈতিক হিংসায় অন্তত ৪৯। মুখ্যমন্ত্রী যদিও এ দিন দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে হিংসায় মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলমত নির্বিশেষেই নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়া হবে৷


Sudipto

সম্পর্কিত খবর