বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জোর প্রস্তুতিতে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। গতকাল কালীঘাটে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক। দলের সমস্ত শক্তির উৎসস্থল যে মমতা সেকথা তৃণমূল কংগ্রেসে তা সর্বজন স্বীকৃত। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নও (Nomination) তিনি নিজেই দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভোট পূর্বে গতকাল কালীঘাটের এই বৈঠক যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অবকাশ রাখে না। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে দলের সংগঠন নিয়ে নিজের মত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলে পুরনো নেতাদের যথাযত সম্মান দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বকেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন মমতা।
এই প্রসঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন, মমতাদি না থাকলে দল করব না। তারা কারা?’ তার পরেই তার বার্তা, ‘তা-ই যদি হবে, তা হলে এত কষ্ট করে কেন দল করে দিয়ে যাচ্ছি! ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে কি কংগ্রেস উঠে গিয়েছে? যারা এ কথা ভাবছেন, তারা চাইলে চলে যান।’
দলের ছাত্র-যুবদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘এখনই কেউ টিকিট চাইবেন না। আরও কাজ করুন। অভিজ্ঞতা হোক, তারপর।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের হাতে প্রার্থী বাছাই করবেন বলে এদিন সাফ জানান তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা। নেত্রীর কথায়, ‘জেলা সভাপতি, এমএলএ-রা কেউ কাউকে টিকিট দেবেন বলে কথা দেবেন না। সব টিকিট আমি দেব।’
কিছুদিন আগে হয়েছে যাওয়া সাগরদিঘি নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। বলেন, ‘নেতাদের অনেকে তো আগেই বলে দিয়েছিলেন তৃণমূল হারবে।’ ইদ্রিস আলি, আখরুজ্জামানদের নাম তিনি নেত্রীর মন্তব্য, ‘ট্রেনের মধ্যে আলোচনায় আমাকে, অভিষেককে গাল দিচ্ছেন। ‘শিওর’ বলে দিয়েছেন, কত ভোটে দল হারবে।’ এরপর কিছুটা আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘আমি তো সুব্রত সাহার ছেলেকেই প্রার্থী করতাম। কিন্তু শুনলাম ব্যক্তিগত স্তরে কিছু অভিযোগ আছে তার নামে। মামলাও আছে।’ এদিন মন্ত্রী ফিরহাদ, উদয়ন গুহ সহ বেশ কিছুজনকে মুখে লাগাম দেওয়ার পরামর্শও দেন মমতা। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েতের আগে সবদিক থেকে দলকে ঝালিয়ে নিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।