বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর চার মাস পরই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024)। পুজো শেষে সবদলই ধীরে ধীরে এবার ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। তারই মধ্যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট (Assembly Election) রয়েছে। সেই ভোটের ফলাফল অনেকটাই দিক নির্দেশিকা দেবে শাসক এবং বিরোধীদের।
এরাজ্যে লোকসভা ভোটে আসন সংখ্যা ৪২। যার মধ্যে গত ২০১৯-এর ভোটে তৃণমূল (TMC) পেয়েছিল ২২টি, বিজেপি (BJP) ১৮টি এবং কংগ্রেস (Congress) পেয়েছিল ২টি আসন। কিন্তু দলবদলের কারণে বর্তমানে বিজেপির দুই সাংসদ তৃণমূলে। এদিকে বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, আগামী লোকসভা ভোটে অন্তত ৩০টি আসন পাবে ঘাসফুল শিবির।
আর সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই তালিকায় একাধিক সাংসদ ফের টিকিট পেতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নতুন মুখ আসতে পারে। আর তারই মধ্যে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তিনটি আসনে প্রার্থী বদল প্রায় চূড়ান্ত।
এই তিনটি কেন্দ্র কোনগুলি? তৃণমূল সূত্রে খবর, বর্তমানে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হিসেবে রয়েছেন অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। একথা বলার অবকাশ থাকে না যে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এমনকী, অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির হিসাব নিয়েও সরব হয়েছে তৃণমূল। ফলে শিশির এবং দিব্যেন্দুকে প্রার্থী করবেন না মমতা।
অন্যদিকে, আরেকটি নাম পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) সাংসদ সুনীল মণ্ডল (Sunil Mondal)। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগদানের পর অমিত শাহের জনসভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল। কিন্তু এরপরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান তিনি। বলেন, বিজেপির সদস্যপদ কোনওদিন গ্রহণই নাকি করেননি তিনি। পরে অবশ্য, তৃণমূলের সঙ্গেই থাকেন সুনীল। তবে সাম্প্রতিককালে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ। সেই কারণে তাঁরও টিকিট পাওয়ার আশা কার্যত নেই বললেই চলে।