বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গতবছরের আমফানের স্মৃতি এখনও পরিষ্কার। করোনা আবহে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পুরো লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান। এবার ‘ইয়াশ’ (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় বিন্দুমাত্র খামতি রাখতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।
করোনার প্রথম পর্বে বাংলার উপর আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। এখনও বেশকিছু জায়গায় ঝড়ে উপড়ে ফেলা গাছ সেইভাবেই পড়ে রয়েছে। ঝড়ের পরবর্তীতে বেশকিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন প্রায় ১৫ দিন থেকে ১ মাস। ছিল না থাকার জায়গায়, ছিল না খাদ্য এবং পানীয় জলও। তাই এবার কোন খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার।
নবান্নর পাশে উপান্নতে ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এমনকি আগামী ২৫ শে এবং ২৬ শে মে সেখানে সশরীরে উপস্থিত থেকে সবকিছু খতিয়ে দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন বিভাগের পাশাপাশি প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌ সেনাকেও।
নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জরুরী ভিত্তিক প্রস্তুতিও-
ক্যুইক রেসপন্স টীম, NDRF টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর অঞ্চলে।
ঝড় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পুলিশ, কোস্টগার্ড(Coast Guard), পঞ্চায়েত সমিতি, এসডিও, বিডিওদের।
পাঠানো হয়েছে ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল, বেবিফুড। ঝড় পরবর্তীতে পানীয় জলের যোগান দিতে ২ লক্ষ জলের পাউচ তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে PHE- কে।
৫০,০০০ বিদ্যুতের খুঁটি মজুত রাখতে বলা হয়েছে। এলাকার মানুষকে সতর্ক রাখতে মাইকিং করা হচ্ছে জায়গায় জায়গায়।
২৫ টি ড্রোনে করে বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ঝোরে পরিস্থিতি নজরদারি করা হবে। যোগাযোগ রাখার জন্য মজুত রাখা হয়েছে ২০টি স্যাটেলাইট ফোন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আগাম বৈঠক করে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
ঝড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ১১৫ টি আয়লা সেন্টার ও ২৫০ টি আইসিডিএস সেন্টারের পাশাপাশি স্কুল কলেজে উপকূলভর্তি এলাকার ৩ লক্ষ মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে বাড়ানো হয়েছে বেডের সংখ্যা, মজুত রাখা হয়েছে ওষুধও।