বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা, শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনা। একদিকে চলছে মুশির্দাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে এবং অন্যদিকে চলছে ভবানীপুরে ভোট গণনা। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বিরাট ব্যবধানে নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজে পরাজিত হলেও, দলের জয়ের কারণে বাংলার মসনদে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে বাংলার যে কোন একটি কেন্দ্র থেকে জয়ী হতেই হবে। তবেই তিনি নিজের মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখতে পারবেন। সেই কারণেই এই করোনা আবহের মধ্যেও উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হয় তৃণমূল।
বিরোধীদের শত বাঁধা সত্ত্বেও গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের দিন নির্ধারিত করা হয়। নির্ধারিত দিনেই নিয়ম মাফিক মুশির্দাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও করা হয় বিধানসভা নির্বাচন। আজ অর্থাৎ ৩ রা অক্টোবর প্রকাশিত হবে এই নির্বাচনের ফলাফল। সকাল ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনা। চলছে মুখ্যমন্ত্রীর আসন রক্ষার ভাগ্য নির্ধারণও।
এবিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বড় মার্জিনে জয়ী হবেন। প্রায় ৫০ থেকে ৮০ হাজার ভোটে জিতবেন তিনি’।
অন্যদিকে ফল প্রকাশের পর রাজ্যে হিংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal)। ইতিমধ্যেই এই আশঙ্কা করে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।
তিনি বলেন, ‘শেষবার নির্বাচন শেষে সন্ত্রাসের কারণে বাংলার সম্মান নষ্ট হয়েছিল। সেই কারণে এবার আগে থাকতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি’।