বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। প্রায় ৬০০ এর কাছাকাছি আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত ১২। রাজ্যেও (West bengal) বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা ১১ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য।
এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পর করোনার চিকিৎসার জন্য দ্বিতীয় হাসপাতাল করা হল রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সব রাজ্যেই হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। যার জেরে ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ হয়ে উঠেছে ‘করোনা স্পেশালিটি হাসপাতাল’। প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ রাজারহাটের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে বিদশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেখানেই করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় করে তোলা হচ্ছে। ৫০ জন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠানোর, পাশাপাশি রাখা হচ্ছে ৫০০টি শয্যা।
রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনের জন্য সুপারও নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি জানান, ”বর্তমানে আমরা হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেজন্য ২জন টেকনিশিয়ান, চিকিৎসক, দু’জন ডেপুটি নার্সিং সুপার, ৩০ জন নার্স, একজন নার্সিং সুপার-সহ প্রায় ৫০ জন কর্মীকে ইতিমধ্যেই সেখানে পাঠানো হয়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।”
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীদের সরিয়ে আনা হচ্ছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেখানে ইতিমধ্যেই ৩০০ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং মেডিক্যাল কলেজের ৫ নম্বর গেটের নাম বর্তমানে রাখা হয়েছে ‘করোনা গেট’। এর পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি হল, অনুষ্ঠান বাড়ি এবং নবনির্মিত আবাসনও করোনা রোগীদের জন্য সরকারী তরফ থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমনকি এই পরিস্থিতিতে বাংলার মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলিও ইডেন গার্ডেন্সকে সরকারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ইডেন গার্ডেন্স নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।