বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যবাসীর জন্য ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ জনমোহিনী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে মহিলা কিংবা রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য চালু রয়েছে এমন একাধিক প্রকল্প। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানকারী অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সরকারি প্রকল্প হল ‘যোগ্যশ্রী প্রকল্প’ (Jogyoshree Scheme)।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা মেধার জোরে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যে ফের একবার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর ক্ষমতায় আসার পর ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবার এই যোগ্যশ্রী প্রকল্প প্রকল্প নিয়েই এক বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মূলত এতদিন এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র রাজ্যের পিছিয়ে পড়া তফসিলি জাতি এবং জনজাতি ভুক্ত একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই পেতেন। তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই চালু করা হয়েছিল এই যোগ্যশ্রী প্রকল্প। যার মাধ্যমে আইআইটি এন্ট্রান্স,জেইই অ্যাডভান্সড,জেইই মেন,রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রাস এবং নিটের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য বিনামূল্যেই অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ নিতে পারেন পড়ুয়ারা।
কিন্তু রাজ্য সরকারের এই বিনামূল্যের প্রশিক্ষণের সুবিধা এতদিন পর্যন্ত তফসিলি জাতি এবং জনজাতি ভুক্ত পড়ুয়ারা পেলেও বঞ্চিত থেকেছেন রাজ্যের সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রীরা। তবে মুখ্যনমন্ত্রীর এদিনের এই ঘোষণার পর সেই ভেদাভেদ আর থাকছে না।
আরও পড়ুন: ফ্রি রেশন বন্ধ, কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল কেন্দ্র! এবার কী হবে গ্রাহকদের?
মঙ্গলবার যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের জন্য গালভরা প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃতি ছাত্রছাত্রীদের কথা জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘২০২৪ সালে JEE অ্যাডভান্সে ২৩ জন স্থান পেয়েছে, JEE মেইনে জায়গা করে নিয়েছে ৭৫ জন, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে rank করেছেন ৪৩২ জন। অন্যদিকে NEET-এ rank করেছেন ১১০ জন। গত কয়েক বছরের থেকে এবার এই পরীক্ষার ফল অনেক ভালো হয়েছে।’
এখানেই শেষ নয়, এরপরেই রাজ্যের সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এক দারুন উপহার। যার ফলে আগামী দিনে এই ‘যোগ্যশ্রী প্রকল্প’-র সুবিধা শুধু তফসিলিরাই নয়, পাবেন বাকিরাও। সেকথা জানিয়েই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘ সামর্থ্য না থাকা ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আমরা রাজ্যের যোগ্যশ্রীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করেছি। প্রশিক্ষিতের সংখ্যাও বেড়ে ২০০০ ছাড়িয়েছে। আমরা চাই সমাজের দুর্বল স্তরে থাকা ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি করে চিকিৎসক এবং প্রযুক্তিবিদ হোক। তাই এ বার সংখ্যালঘু, সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তেরাও যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার ব্যবস্থা করবে সরকার।’