বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের (Babul Supriyo) বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে ফের তৃণমূল (TMC) বিজেপি (BJP) সংঘর্ষ প্রকাশ্যে চলে এল। দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতির কারণে ঘূর্ণিঝড় আমফানের থেকেও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বাংলায় জন্য, এমন দাবি করলেন বাবুল সুপ্রিয়। সংকটের দুর্দিনে মানুষের ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল- এমনটাও অভিযোগ করলেন তিনি।
ত্রাণ বিলিতে বাধাপ্রাপ্ত বিজেপি কর্মী
আমফানের তান্ডবের পর বিধ্বস্ত বাংলায় (West bengal) ত্রাণ পৌঁছাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন গেরুয়া বাহিনী। এমনকি বারুইপুরের দিকে যাওয়ার পথে গড়িয়ায় ঢালাই ব্রিজে এবং তমলুকের রাস্তায়ও গাড়ি আটকে দেওয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। একইভাবে ভয়াবহ দুর্যোগের পরিস্থিতিতে মানুষকে সাহায্য করতে গেলে বনগাঁয় স্থানীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকেও বেগ পেতে হয়।
প্রতিবাদে সরব হলেন বাবুল সুপ্রিয়
বিজেপির সদস্যাদের ত্রাণ বিলিতে শাসক দল তৃণমূলের বাধাদানের অভিযোগে সরব হন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি তৃণমূল বাহিনীকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়ে বলেন,”বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা শ্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সুন্দরবনের মাটিতে নেমে কাজ করে চলেছেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে তো এই সময় আরও বেশি করে কাজে লাগানো উচিত। এই সময় রাজনৈতিক কারণে তাঁকে বাধা দেওয়াটা কি ঠিক?”
ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ বিলি নিয়েও রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বাবুল। তিনি বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিষেধ করলেও, বিপদের এই দিনে কিন্তু ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি হয়েই চলেছে। যে কোন এনজিও হোক বা বিরোধী দল, যে কেউ এই বিপদের দিনে ঝাপিয়ে পড়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। এতে বাঁধা দেওয়ার তো কারণ নেই। কংগ্রেস, সিপিএম হোক বা বিজেপি- সামর্থ্য থাকলে, যে কেউ ত্রাণ দিতে পারে। এই সময় কেন তাঁদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে?”
দুর্গদের পাশে বাবুল
দুর্যোগের এই দিনে রাজনীতির উর্দ্ধে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পন্থায় বিশ্বাসী বাবুল জানালেন, “আমি বরাবরই মনে করি, বিরোধীরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও তাঁরা কিন্তু শত্রু নন। এখানে ব্যক্তিগত সম্পর্কে সৌজন্য দেখানোই দস্তুর। এর আগেও বুলবুলের সময় আমাকে ত্রাণ বিলিতে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। তবে আমি এখন ঠিক করেছি, যাঁরা দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছতে দেবে না, তাঁদের প্রতি আর কোনও সৌজন্য দেখাব না।”