বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাজারো বিতর্কের পর অবশেষে এলেন তিনি। এগরার খাদিকুলে (Egra Blust) বিস্ফোরণে নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। মমতা বলেন, ‘এই ঘটনা থেকে আমাদের চোখ খুলে গেছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করে জীবন নষ্ট যেন না হয়।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেন, আর্থিক সাহায্য দিলেন, চাকরি দিলেন – কিন্তু এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছিল তা শান্ত হয়েছে কিনা সেটা সময় বলবে। তবে শনিবার খাদিকুলে গিয়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার যাবতীয় দায় পুলিস ও গোয়েন্দা বিভাগের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিজে ‘সেফ সাইডে’ চলে গেলেন মমতা। তিনি দাবি করেন, গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিসও কোনও পদক্ষেপ করেনি।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ১১ দিন পর শনিবার এগরার খাদিকুলে আসেন মমতা। সেই ঘটনায় যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তারপর মৃতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।
এরই সঙ্গে, পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিয়োগ করেন হোমগার্ডের চাকরিতে। আগামিকাল থেকেই তাঁরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানান মমতা। সেইসঙ্গে মমতা আশ্বাস দেন, যারা পড়াশোনা করতে চায়, তাদের আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।
এদিন মমতা বলেন, ‘শুধুমাত্র গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকারের ক্লাস্টার তৈরি হবে ফাঁকা জায়গায়। তাতে চাকরিটাও বাঁচবে। এমন দুর্ঘটনাও হবে না। শব্দবাজি কারখানা অবৈধ। লোভে পড়ে অনেকে এই বাজি তৈরি করতে যান। তাতে প্রাণহানি হয়।’