বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, “ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট শুনেছি। কিন্তু গভর্নমেন্ট অ্যাট মিডনাইট শুনিনি।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ফড়নবিশ ইস্তফা দিয়ে ভালোই করেছেন। উপযুক্ত সংখ্যা না থাকলে ইস্তফা তো দিতেই হবে।” মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে BJP -কে কটাক্ষ করেন মমতা । তাঁর বক্তব্য, “মহারাষ্ট্রে চুপিচুপি সরকার গড়া হল কেন? রাজ্যপাল ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।”
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটক চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছল, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিস। মঙ্গলবার টানা প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকের পর অবশেষে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফডণবীসের পদত্যাগের পর জোর ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বুধবার বিকেলে আস্থাভোট করার নির্দেশ জারি হওয়ার পর ফডণবীসের বাসভবনে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন অজিত পাওয়ার সহ মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের অন্যান্য বিধায়করা অবশেষে, বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়ে দেন দেবেন্দ্র।
যদিও দল ছাড়লেন কিনা সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করে বলেননি তবে শনিবার সকালে তাড়াহুড়ো করে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণের পর আবার পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত বিজেপি নিজেই নিজের মুখ পুড়িয়েছে। উল্লেখ্য শনিবার দেবেন্দ্র ফড়নবিসের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণের পর শিবসেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের তরফে দেশের শীর্ষ আদালতে আস্থা ভোটের আর্জি জানানো হয়।
এর পর রবি ও সোম দু দিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার লাইভ সম্প্রচারে এবং প্রোটেম স্পিকারের মাধ্যমে আস্থা ভোটকরার নির্দেশ দেয় রামান্নার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। অর্থাত্ বুধবার বিকেল পাঁচটার আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কথা জানানো হয় কিন্তু তার আগেই প্রথমে ইস্তফা দেন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার, অজিতের ইস্তফা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দেবেন্দ্র ব্যক্তিগত কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানান
একই সঙ্গে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি র বেশি ভোটাভুটির প্রশংসাও করেন তিনি, বিজেপি ও শিব সেনার জোট হলেও বিজেপি ৭০ শতাংশ বেশি আসনে জিতেছেন বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে বুধবার বিকেলের মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে সুপ্রিম কোর্টের এমন রায় ঘোষণার পর এনসিপি কংগ্রেস এবং শিব সেনার তরফে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেই বিজেপিকে পরাস্ত করার কথা ঘোষণা করে।
তবে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যে আবারও মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভোল বদল হবে তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেনি বিরোধী শিবির।