বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলা প্রথম সারির সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকা (anandabazar patrika) এর সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের (anirban Chattopadhyay) ইস্তফা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সিপিআইএম থেকে বিজেপি প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে। মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকরও ।
করোনা সংক্রমণে মৃত্যু নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। এর জেরে সম্প্রতি তাকে তলব করে কলকাতা পুলিশ। এরপর হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেন তিনি। যা ঘিরে উঠছে জল্পনা।
একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, পত্রিকার সাথে নীতিগত বিরোধের কারনেই ইস্তফা দিয়েছেন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। তবে রাজনৈতিক কারনেই তাকে ইস্তফা দিতে হয়েছে এমন দাবিও করেছেন অনেকেই। তারা বলছেন সরকারের বিরোধিতা করাতেই সরে যেতে হল এই বর্ষীয়ান সাংবাদিককে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি উভয়পক্ষকেই বিঁধেছেন সিপিআইএম এর সূর্যকান্ত মিশ্র। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন,” যদি বিজেপি-কে খুশী করার জন্য আনন্দ বাজার পত্রিকা সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে বুঝতে হবে আমাদের রাজ্য ও দেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ আরও তীব্রতর হবে।মুখ্যমন্ত্রীও তার অংশীদার হলে বুঝতে হবে তিনি পুরোপুরি বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।এটা কি ঠিক?”
যদি বিজেপি-কে খুশী করার জন্য আনন্দ বাজার পত্রিকা সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে বুঝতে হবে আমাদের রাজ্য ও দেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ আরও তীব্রতর হবে।মুখ্যমন্ত্রীও তার অংশীদার হলে বুঝতে হবে তিনি পুরোপুরি বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।এটা কি ঠিক? @MamataOfficial https://t.co/bQa5nMlSVw
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) May 30, 2020
এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রটি অলঙ্ঘনীয়। এটাই আমাদের গণতন্ত্রের মেরুদন্ড এবং সংবিধান দ্বারা প্রতিশ্রুত। তিনি আরো বলেছেন, @MyAnandaBazar পত্রিকার সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতা পুলিশ দ্বারা হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব করার প্রেক্ষিতটি জানার উদ্দেশ্যে আমি মুখ্যসচিবের কাছে সাম্প্রতিকতম তথ্য চেয়েছি
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1265949865730695168?s=19