বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছর শেষের আগেই বড়সর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় [Mamata Banerjee]। করোনা-কালে যাতে বাড়িতে বসেই সকল পড়ুয়ারা নির্দ্বিধায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন, সেই জন্য দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব প্রদান করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এছাড়া সরকারি কর্মীরা আগামী জানুয়ারি মাসেই একদফা ডিএ [D.A] পাবেন বলে এদিন নবান্ন [ Nabanna ] থেকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল-কলেজ। ফলে অনলাইনেই চলছে পড়াশুনা। কিন্তু রাজ্যের এখনও অনেক ছাত্রছাত্রীই প্রযুক্তির অভাবে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারছে না। সেই নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই সরব বাম দলগুলি। সেই সমস্যারই কিছুটা সমাধান করতে এদিন রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ১২ লক্ষ পড়ুয়ার হাতে ট্যাব তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
শুরুতে শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া হলেও, পরে অন্যান্য পড়ুয়াদেরও ট্যাব দেওয়ার পরিকল্পনা সরকার করছে বলে জানান মমতা। তবে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল ও হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারাই এই ট্যাব পাবে। পাশাপাশি, প্রত্যেক সরকারি স্কুলে একটি করে কম্পিউটারও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, আগামী জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আরেক দফা ডিএ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। নবান্ন থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের নানাবিধ সুবিধা দিয়েছে সরকার। আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সকলের বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে। করোনা ও আমফানের পরেও কেন্দ্র সেইভাবে সহায়তা করেনি। এখনও কেন্দ্রের থেকে ৮৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের সময় নানা রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ৩০০টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়া অনেক বাসের ব্যবস্থা তো ছিলি। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এখন অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। রেল-কোল ইন্ডিয়ার কর্মীদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই।’ পাশাপাশি, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্যও কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন মমতা।