বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে এবার বিচ্ছেদ হতে চলেছে তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইপ্যাক কর্তার মেসেজে কথোপকথনের পর স্পষ্ট হচ্ছে এই দাবিই। দলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যে বাইরের কারও হস্তক্ষেপ চায় না দল এমনটাই স্পষ্ট করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ব্যাপারে সহমত বলেই সূত্রের খবর।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের খারাপ ফলের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় আসেন প্রশান্ত কিশোর। ২০২১ এ তাঁর পরামর্শেই ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে তৃণমূল এমনটাই দাবি পরামর্শদাতা ওই সংস্থার। কিন্তু এক ‘বহিরাগতের’ হস্তক্ষেপ ঠিক ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেননি দলের পুরোনো নেতারা।
এবার তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে আরও অসন্তোষ বেড়েছে দলে। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ অবরোধ করেন কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ পিকের হস্তক্ষেপেই টিকিট পাননি পুরোনো নেতারা। দলকে ‘পিকেমূল’ বলে দলত্যাগ করেন পুরুলিয়ার দাপুটে নেতা শামিম দাদ খান।
এরই মধ্যে তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভুল প্রার্থীতালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করেও চরমে ওঠে বিতর্ক। প্রার্থীদের নামের ক্ষেত্রে আইপ্যাকের সুপারিশ মানেনি তৃণমূল এমনটাও দাবি উঠছে। উলটে আইপ্যাককে এই কথা বলা হয় যে বাংলাকে বুঝতে বাইরের কারও প্রয়োজন নেই দলের। এরপরই তুঙ্গে ওঠে পিকে-মমতা বিবাদ৷ প্রশান্ত কিশোর মমতাকে মেসেজ করে জানান, ‘বাংলা, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে না আই প্যাক’। এতে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। এরপর থেকেই তুঙ্গে তৃনমুল -আই প্যাক বিচ্ছেদের জল্পনা।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, ‘পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে হওয়া চুক্তি খুঁটিয়ে দেখতে হবে। কোনো চুক্তি থাকলে তা অবিলম্বে বাতিল করার জন্য যা দরকার তাই তাই করা হবে’। এখনও তৃণমুলের বেশ কিছু বড় ক্ষেত্রে বিরাট সক্রিয়তা রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। কিন্তু এহেন দলের এহেন বক্তব্যের পর কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেই সম্পর্ক, তাই এখন দেখার।