বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিএএ-এনআরসি-এনপিআর মানুষকে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে, মানুষের জীবনযাত্রা কিভাবে বদলে দিতে পারে, তা এবার যাত্রার মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরার প্রস্তাব দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই প্রস্তাবকেই বাস্তবে রূপ দিতে বাংলার যাত্রাপালার সাহায্য নিতে চাইছেন মমতা ।
যাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর- এর প্রভাবকে । শহরের মানুষের কাছে সিএএ-এনআরসি অনেক বোধগম্য, কিন্তু গ্রামের মানুষের কাছে এ বিষয়গুলি বোধগম্য করার জন্য নতুন পন্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতা যাত্রার কাহিনীকারদের নির্দেশ দিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু নিয়ে লেখার জন্য । সেই কাহিনীগুলো যাত্রার মাধ্যমে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলির মানুষদের কাছেও যাতে পৌঁছে যায়, তার বন্দোবস্ত করা হবে ।
লোক যাত্রাকে প্রচার করার জন্য রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আওতায় জেলায় জেলায় যাত্রা উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে । যাত্রানুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসে যাত্রা শিল্পীদের জন্য় ১০ হাজার টাকা বছরে বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।গ্রামের মানুষের কাছে এই যাত্রাপালা খুবই জনপ্রিয় । তাই, যাত্রার মাধ্য়মে গ্রামের মানুষকে খুব সহজেই বোঝানো সম্ভব হবে এনআরসি-সিএএ মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে ।
তৃণমূল সুপ্রিমো দলের কর্মীদের আরও নির্দেশ দিয়েছেন, গ্রামের প্রান্তে প্রান্তে সিএএ , এনআরসি, এনপিআর নিয়ে ছোট ছোট পথনাটিকা চিত্রনাট্য করে মানুষকে বোঝাতে তা মঞ্চস্থ করতে হবে ।তৃণমূলের এহেন উদ্যোগের পাল্টা জবাবে পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবিরও । সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনের তাত্পর্য বোঝাতে মানুষের দরবারে দরবারে বিলি করা হবে পুস্তকা ও প্রচারপত্র ।