বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নন্দীগ্রাম।রবিবার নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই খবর প্রথমে সামনে আসে। কিছুক্ষণ বাদেই জানা যায়, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন মমতা।এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, ‘কারচুপি হয়েছে, আমরা কোর্টে যাব।’ সোমবার একটি এসএমএস পড়ে শোনালেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মমতা দাবি করেছেন, ‘এত বড় মাফিয়াগিরি দেখিনি। রাত ১১টা নাগাদ একটা এসএমএস পেয়েছি একজনের থেকে। রিটার্নিং অফিসার বলছেন,পুনর্গণনার নির্দেশ দিলে তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে।’ উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, তা কমিশন খারিজ করে দিয়েছে।
মমতা আরও যোগ করেন,’তিনি বলেন , ‘কী করে ৮ হাজারের উপর এগিয়ে থাকার মার্জিন এক নিমেষে শূন্য হয়ে যায় ? সার্ভার ডাউন করে রাখা হয়েছিল। না হলে সারা বাংলার এমন ফলাফল, আর নন্দীগ্রামে আলাদা ফল কীভাবে হয় ? ‘
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন না হেরেছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও।রবিবার সংবাদসংস্থা এএনএই একসময় জানিয়ে দেয় শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২০০ ভোটের ব্যবধানে। পরে সময় আর একটু গড়াতে জানা যায়, হেরে গিয়েছেন তিনি। ১৭৩৬ ভোটে। এই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, ভোটপর্বে পুলিশ প্রশাসনের একটা অংশ বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তাঁদের রাজধর্ম পালনের আর্জি জানান তিনি। ভোটপর্বে নির্বাচন কমিশনের আচরণও পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলে মন্তব্য করেন মমতা।