ইন্দ্রানী সেন, বাঁকুড়া: নির্বাচনী প্রচারে জেলাজুড়ে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে রাধানগর ও কোতুলপুরে দুটি জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী।রাধানগরের সভা শেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চেপে সরাসরি জেলার কোতুলপুরে পৌঁছান। রাধানগর ও কোতুলপুরের দুই জনসভা থেকে জ্বলাময়ী বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধান মন্ত্রীকে তুলোধনা করেন। সম্প্রতি সাইক্লোন ফনী নিয়ে রাজ্যজুড়ে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল রাজ্য সরকার সর্বত ভাবে তার মোকাবিলা করবে বলে তিনি দাবী করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”যে নিজের স্ত্রীকে দেখেনা, সারা ভারতবর্ষকে কিভাবে দেখবে।”এদিন আধ ঘন্টার কিছু বেশী সময় ধরে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যের একটা অংশ জুড়ে ছিল রাজ্য সরকারের সাফল্যের বিস্তারিত বর্ননা । একই সঙ্গে বিজেপিকেও তুলোধনা করতে ছাড়েননি। প্রধানমন্ত্রীকে ‘পচা’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, “উনি পাঁচ বছরের মধ্যে সাড়ে চার বছর বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। দেশের দিকে না তাকিয়ে ভোটের সময় ভোট চাইতে এসেছেন। আমি ভোট পাখি আমায় ভোট দিয়ে যাও মিত্রোওও”। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও ‘বাংলার জন্য কেউ কিছু করেনি’ দাবী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সবটাই আমরা করেছি। আর আমরাই করবো’। বাঁকুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যখন বন্যা হয়েছিল, তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা আর চিঠি লেখার পরেও ‘এক টাকা’ও দেওয়া হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।
একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে ‘দাঙ্গাবাজ’ দাবী করে বলেন, আমাদের দলকে উনি ‘তোলাবাজ’ বলছেন। আমার দলের নাম টিএমসি নয়। এআইটিসি। এটা জানা উচিৎ। না হলে ‘কান ধরে ক্ষমা উচিৎ’ বলেও এদিন তিনি দাবী করেন।
সাথে সাথেই বাঁকুড়ার পাথর ভরা মিষ্টি খাইয়ে বাঁকুড়া ও দেশ থেকে বিজেপিকে বিদায়ী সম্ভাসনজানানো হবে বলেও দাবী করেন তিনি।