বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ ২১ শে জুলাই,করোনার কোপে ধর্মতলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ দেখা যায়নি। কিন্তু শহিদ তর্পণে এবার একুশে জুলাই এবার পাড়ার মোড়ে মোরে এবার একটি বিশেষ গান বাজিয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান, ‘যৌবন জাগো নতুন ভোরে’। দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) লেখা গানে সুর দিয়েছেন সুরকার দেবজ্যোতি বসু।
দলের সুপ্রিমো এদিন বলেন……..
১) আমরা এবছর করোনার জন্য ধর্মতলায় সভা করতে পারিনি। তাই আমরা খুব মর্মাহত। কিন্তু কথা দিচ্ছি, আগামী বছর ২১ জুলাই ধর্মতলায় ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে।
২) ২১ জুন পর্যন্ত বাংলার গরিবরা বিনামূল্যে রেশনের চাল গম পাবেন। আজ বলছি, আমাদের সরকার থাকলে শুধু ২১ জুন নয়, সারাজীবন ফ্রিতে রেশন পাবেন, শিক্ষা পাবেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন।
৩) ২১ মে বিধানসভার ফল প্রকাশ হবে। তারপর যে একুশের সভা হবে তা হবে এ যাবৎ সর্ববৃহৎ। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই চলবে।
৪) বহিরাগতরা বাংলা চালাবে না। বাংলা চালাবে বাংলার লোকেরা। তৃণমূল কংগ্রেসকে এত দুর্বল ভাবার কারণ নেই কারোর।
৫) আমি ইনকাম করব অন্য জায়গা থেকে, কিন্তু তা বাটোয়ারা করে দেব গরিবদের মধ্যে। মনে রাখবেন, একটা গাছে অনেক ফল ফলে, কিন্তু কেউ সেটা একা খায় না। সেই ফল অনেকে মিলে খায়।
৬) কিছু লোক রয়েছে যাদের সকাল থেকে জিহ্বা লকলক করে। যাদের না আছে, না আছে রাজনীতির বোধ, না আছে দর্শন, না আছে বুদ্ধি। কখনও বলছে এনকাউন্টার করে দেব, কখনও বলছে জ্বালিয়ে দেব, কখনও বলছে পুড়িয়ে দেব, কখনও বলছে মেরে পা ভেঙে দেব।
৭) আমি তাদের বলছি, তোমাদের জন্মটা কোথায় শুনি! কখনও তো শুনিনি রাজনীতি করেছেন। কখনও তো শুনিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। খালি ধ্বংসের কথা! এতই সহজ!
৮) আমি কিন্তু ভুলে যায়নি আমার কিন্তু মনে আছে এনপিআর-এর (ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার) লড়াই। আমরা ভুলে যাইনি এনআরসি-র (ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) লড়াই। ভাববেন না কোভিড চলছে বলে এনআরসি ভুলে যাব।
৯) মাঝে লোকসভা ভোট হয়েছে। কয়েকটা সিট পেয়ে ভাবছে কী না কী করে ফেলেছে। গুন্ডামি, বদমায়েশি করে চলেছে।
১০) শুধু মিথ্যা কথা। কখনও হিন্দুর সঙ্গে মুসলমানের লাগিয়ে দেওয়া, কখনও রাজবংশীর সঙ্গে কামতাপুরীদের লাগিয়ে দেওয়া, কখনও আদিবাসীদের সঙ্গে তফসিলিদের লাগিয়ে দেওয়া। কীসের রাজনীতি চলছে?
১১) প্রতিদিন কমপ্লেন করছে। বাংলায় নাকি আইনশৃঙ্খলা নেই। যাও বাঁকুড়ায় গিয়ে দেখে এসো, হাওড়ায় গিয়ে দেখে এসো, বসিরহাটে গিয়ে দেখো, হুগলিতে দেখো, গঙ্গাসাগরে দেখো। কোথায় আইনশৃঙ্খলা নেই!
১২) কোভিডের নাম করে পিএফের টাকা ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। মাইনে কেটে নেওয়া হচ্ছে। একমাত্র বাংলায় কর্মচারীদের মাইনেতে হাত পড়েনি।
১৩) রেলওয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, কোল ইন্ডিয়া টোটাল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কোভিডের নাম করে পাঁচ বছরের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গুজরাত কি সব রাজ্যকে শাসন করবে? তা হলে আর নির্বাচন কমিশন থাকার দরকার কী। তুলে দিন। একটা দেশ একটাই রাজনৈতিক দল থাকুক।
১৪) সারাদেশে বেকারত্বের হার যখন ৪৫ শতাংশ বেড়েছে, তখন বাংলায় বেকারত্ব চল্লিশ শতাংশ কমে গেছে। গর্ব করবেন না?
১৫) সংখ্যালঘু স্কলারশিপ সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি কোথায় দেওয়া হয়? বাংলায়। ২ কোটি ৩৮ লক্ষ স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। শান্তিতে কোনও দিন কাজ করতে পারিনি।
১৬) রেশন দোকানে যে ভাল চাল পান সেটা বাংলায় উৎপাদিত চাল। যে খারাপ চাল পান, সেটা ফুড কর্পোরেশনের মানে দিল্লির পাঠানো পচা চাল।
১৭) বামেরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন রোজ অত্যাচার করেছে। এখন বিজেপি কথায় কথায় অসম্মান করছে। কথায় কথায় চক্রান্ত করছে। কোনও দিন যদি ভুল করে ওদের বিশ্বাস করেন তা হলে জীবনও যাবে জীবিকাও যাবে।
১৮) কথায় কথায় অপমান করেছে। আমিও একটা মানুষ। যন্ত্র নই। সারাজীবন লাঞ্ছনা, গঞ্জনা সহ্য করেছি।
১৯) গায়ের জোরের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে কথা বলেন না। কিন্তু আমি ভয় পাই না। আমি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে জানি। মনে রাখবেন মৃত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর।
২০) বিজেপি একটা চোরেদের দল। ভোটের সময় টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে। বলতে পারেন, কেন মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটকে টাকা দিয়ে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে। আগামী ২১ মে বদলা নিয়ে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করে দিন। বাংলা যে বহিরাগত চালাবে না, বাংলার লোকই চালাবে তা প্রমাণ করে দিতে হবে।
২১) এজেন্সি দিয়ে অপমান করা হচ্ছে। বাংলার মানুষের কোমর ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে- এই লড়াই আপনাকে লড়তে হবে।দাদাভাই সঙ্গী হয়েছেন। এক দাদা এক ভাই।
দুজনে মিলে প্ল্যান করুন উন্নয়নের। কিন্তু যদি মনে করেন, এজেন্সি দিয়ে আর এখানকার কিছু সিপিএমকে হাত করে বাংলা চালাবেন তা হবে না।