বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেষ রক্ষা হল না। জাতীয় দলের (National Party) তকমা হারালো তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)৷ সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) পক্ষ থেকে এই কথা ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা থাকবে কি না, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল৷ জাতীয় দলের তকমা হারাবে তৃণমূল! এমনটাই দাবি ছিল বিরোধীদের। জাতীয় দলের তকমা যাতে খারিজ করা না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করেছিল দল৷ তবে কোনো সুরাহা হল না।
জানিয়ে রাখি, নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে চার বা তার অধিক রাজ্যের দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে। অথবা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে ২ শতাংশ আসন পেতে হয়। সবদিক বিচার করে এদিন তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা সরানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ পাল্টা তৃণমূল দাবি করে, ২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পায় দল, তা ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা৷ আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল না দেখে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্তে যাতে উন্নীত না হয় সেই আবেদনও জানিয়েছিল তৃণমূল।
তবে তৃণমূলের আবেদন শোনা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে দল তরফে। এই নিয়ে দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দল আইনি সাহায্য নেবে৷
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “নির্বাচন কমিশনের একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত রয়েছে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও ভর্ৎসনা করেছে কমিশনকে। জানিয়ে দিয়েছে, কমিশনের গঠন কেমন হওয়া উচিত। ওদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।”
প্রসঙ্গত, এদিন শুধু তৃণমূলেরই জাতীয় দলের তকমা গিয়েছে এমনটা নয়। তৃণমূলের পাশাপাশি জাতীয় দলের তকমা গিয়েছে শরদ পওয়ারের এনসিপি এবং সিপিআই দলেরও। অন্যদিকে, এদিন নতুন করে জাতীয় দলের তকমা পেয়েছে দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবালের দল আম আদমি পার্টি।
এই বিষয়ে উচ্ছাসিত হয়ে টুইট করে কেজরীবাল বলেন, “এত অল্প সময়ে জাতীয় দল? এটা অলৌকিকতার থেকে কম কিছু নয়। সবাইকে অনেক অভিনন্দন। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের এখানে নিয়ে এসেছেন। মানুষ আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। আজ মানুষ আমাদের এই বিশাল দায়িত্ব দিয়েছে। হে প্রভু, আশীর্বাদ করুন যাতে আমারা এই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারি।”