বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজো আসতে এখনও বাকি মাস কয়েক। আর এর মধ্যেই পুজোর প্রস্তুতিতে মজতে দেখা গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দার্জিলিং সফরের মাঝেই হোটেলের ঘরে বসে পুজোর গানের রেওয়ার শুরু করলেন তিনি। পুজোর আগে সেই গানের রেকর্ডিং ও করা হবে বলেই খবর।
বিগত ২ বছর ধরেই কোভিড কাঁটায় বিদ্ধ গোটা দেশ। ফলে সেরকম ভাবে হতে পারেনি দুর্গাপুজোর উৎসব-জাঁকজমক। কিন্তু ক্রমেই কাটছে কোভিডের কালো মেঘ। ৩১ মার্চ থেকে শুধুমাত্র মাস্ক ছাড়া সমস্ত কোভিডবিধিই তুলে দেওয়া হচ্ছে দেশ থেকে। তাই এবছর দুর্গাপুজোয় যে জমিয়ে আনন্দ হৈ হুল্লোড়ে আর কোনও বাধা থাকবে না এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।
শুধু তাইই নয়, বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। তাই মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে এবার পুজোয় বাংলায় হবে ‘গ্র্যাণ্ড সেলিব্রেশন।’ এবার কার্নিভালও হবে আগের সব বছরের থেকে জমজমাট। অক্টোবরে পুজো শুরু হলেও উৎসব শুরু হয়ে যাবে সেপ্টেম্বর থেকেই। তাই এবার মার্চের শেষ থেকেই উৎসবের প্রস্তুতিতে মাতলেন মমতা।
বিগত কয়েক বছর ধরেই নিজের লেখা এবং সুর করা গানের অ্যালবাম পুজোয় প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জাগোবাংলার শারদ সংখ্যার সঙ্গে একই দিনে একই সঙ্গে প্রকাশিত হয় এই অ্যালবাম।
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগের দিনই রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়িতে এসে গানের রেকর্ডিং করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় সেখানে ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীও। ঘন্টা দুয়েক ধরে ইন্দ্রনীল সেনের বাড়িতেই তাঁর স্টুডিওতে গান রেকর্ড করেন মমতা।
উল্লেখ্য, বুধবারও দার্জিলিং এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোটেলের ঘরে উপস্থিত ছিলেন গায়ক তথা রাজ্যের সংস্কৃতি উন্নয়ন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই চারটি গান এদিন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে এবারও আগের বছরগুলির মতন পুজোয় মুক্তি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের অ্যালবাম। তবে পুজোর মতই কী বিশেষ চমক থাকবে তাতে তাই এখন দেখার।