বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ফের নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে পথে নামলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। আজ হাওড়া ময়দান থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আজ ফের নাগরিকপঞ্জি আর নাগরিকতা আইন নিয়ে মোদী সরকারকে (Modi Sarkar) একহাতে নিলেন তিনি। উনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে না দাঁড়াতে পেরে ওঁরা আমাকে নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘১৯২১ সালে আমার ১৩ জন কর্মী মারা গিয়েছিল গুলিতে।” যদিও এটা তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুখ ফসকে বলেছেন। কারণ দেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালে আর তৃণমূলের জন্ম হয়েছিল ২০০-০১ সালে সেহেতু দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তৃণমূলের কোন অস্তিত্বই ছিলনা। আরেকদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্ম ১৯৫৫ সালে। তাই ১৯২১ সালে তৃণমূলের ১৩ জন কর্মীর মৃত্যু যে উনি মুখ ফসকেই বলেছেন সেটা স্বাভাবিক।
যদিও এটাই প্রথম না যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী মুখ ফসকে কিছু বললেন। এর আগেও তিনি বহুবার মুখ ফসকে এমন এমন কথা বলেছেন যে, তাঁর জন্য ওনাকে হাসির পাত্র হতে হয়েছে। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে দেড় হাজার কেজির বাচ্চা হওয়া দরকার। তাছাড়াও বিষ্ণু মাতা, যৌন ধর্ম, বাংলাদেশ ইস বর্ডার অফ পাকিস্তান। অ্যাসিডিটি কে কার্বলিক অ্যাসিড ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি একবার প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যাকে প্রতিবেশী দেশও বলে ফেলেছিলেন মুখ ফসকে।
আজ মোদী সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে পুরনো প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘সিপিএম সেই সময় ভোট করতে দিতনা। এক একজনের ৫০ টা তালিকায় নাম ছিল। আর সেই সময় আমি নো আইডি কার্ড, নো ভোট প্রসঙ্গ নিয়ে পার্লামেন্টে বলেছিলাম। ১৯২১ সালে আমার ১৩ জন কর্মী মারা গিয়েছিল গুলিতে। তারপর থেকে লড়তে লড়তে এসে ওটা আমরা করেছিলাম।”
আপানদের জানিয়ে রাখি, ১৯৯৩ সালে ২১শে জুলাই ভোটার কার্ড ছাড়া ভোট দেওয়া যাবেনা, এই দাবিতে মহাকরণ ঘেরাও করেছিল যুব কংগ্রেস কর্মীরা। সেই সময় যুব কংগ্রেসে ছিলেন মমতা ব্যানার্জী। আর তখন শাসক দলের ইশারায় গুলি চালানো হয়েছিল, আর সেই গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী মারা গেছিলেন। আহত হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জীও। এরপর ক্ষমতায় আসার পর মমতা ব্যানার্জী যুব কংগ্রেসের কর্মীদের তৃণমূলের কর্মীর পরিচয় দিয়ে প্রতি বছর ২১শে জুলাই শহীদ দিবস পালন করেন।