বাংলা হান্ট ডেস্ক:সদ্য সদ্য লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেয়েছে দল। একধাক্কায় ৩৪ থেকে ২২-এ নেমে গেছে দলের আসন সংখ্যা। তাই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে একাধিক রদবদল করলেন বিধানসভা ভোটকে লক্ষ্য করে। এছাড়াও লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হলো বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।
মমতা নিজের বাড়ি কালীঘাটে একটি কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন। সেখানে আলোচনা হয় লোকসভা ভোটের ফলাফল ও জেলা সভাপতি ও পর্যবেক্ষকদের নিয়ে। দলত্যাগের হিড়িক বেড়েছে এই লোকসভা ভোটের পর। বিধানসভা ভোটের আগে বিপর্যয় ঝেড়ে ফেলতে মমতা একাধিক রদবদল করেন দলে।
অপরদিকে, মমতার ভর্ৎসনার শিকার হয় অনুব্রত। লোকসভা ভোটে অনুব্রতকে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়ার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেখান থেকে কোন প্রত্যাশিত ফল দিতে পারেনি অনুব্রত। তৃণমূলের ভোট কমেছে বোলপুর ও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায়। বাকি তিনটি জেলাতেও ধাক্কা খেয়েছে মমতার দল। সূত্রের খবর, ফল খারাপের বৃত্তান্ত জানতে চেয়ে অনুব্রতর কাছে কৈফিয়ৎ চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি বলেন, “কেষ্ট কেন হারলি এতগুলি জায়গায়?” মমতা নদিয়ার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন অনুব্রতকে। নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় EVM কারচুপিরও অভিযোগ তোলেন BJP-র বিরুদ্ধে, তিনি বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহার করে EVM-S প্রোগ্রামিং করা হয়েছে। নাহলে অমিত শাহ কি করে বললেন, BJP 300টি আসন পাবে?” ব্যর্থতা কে পেছনে ফেলে আবার প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে ফিরে আসতে দলের সকলকে বার্তা দেন মমতা। বলেন, “আমরা ঘুরে দাঁড়াবই। চিন্তা করবেন না। মাটি কামড়ে পড়ে থাকুন। জনসংযোগ বাড়ান।”