বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনার বিরোধিতায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে বিজেপির কর্মীরা প্রতিবাদ দেখায়। জানিয়ে দিই, জেপি নাড্ডার কনভয়ে বিজেপির মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও ছিলেন। আর তিনি গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার পাটনিপুরার চৌরাস্তায় বিজেপির কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পোস্টার রাস্তার মধ্যে লাগিয়ে দেয় আর মমতা বিরোধী স্লোগান দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ছবি গুলোর উপর দিয়ে রাস্তার মানুষ আর যানবাহন চলাচল করে। এই ঘটনার ভিডিও (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিজয়বর্গীয়র সমর্থকদের দ্বারা এরকম প্রতিবাদের চর্চা গোটা শহর জুড়ে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দুদিন আগে ডায়মন্ড হারবারে নিজেদের কার্যক্রমে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ওনার সাথে ওনার কনভয়ে ছিলেন বিজেপির মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় আর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সমেত অনেক নেতা কর্মীরা। সেই সময় নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। আর এই ঘটনার জন্য বিজেপি তৃণমূলকে দায়ি করে। এই ঘটনায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও বিজেপির অনেক নেতা কর্মী আহত হন।
ইন্দোরে আন্দোলনরত বিজয়বর্গীয়র সমর্থকরা বলেন, বিজেপি এখন বাংলায় ভালো শক্তি বৃদ্ধি করেছে। আর সেটাতেই ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ভয়ে বিশ্বের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিশানা করছে। তাঁরা জানায়, সেই কারণেই তাঁরা এহেন প্রতিবাদ করছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রাস্তার মধ্যে লাগিয়ে ওনাকে অপমান করা হচ্ছে।
বিজেপির এক নেতা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিংসাত্মক মনোভাবের বিরোধিতা করার জন্যই এরকম প্রতিবাদ করছি আমরা। আমাদের তরফ থেকে কেন্দ্র সরকারের কাছে দাবি হল, মমতা সরকারকে বরখাস্ত করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক আর মহাসচিব বিজয়বর্গীয়কে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়া হোক।