বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল আমলে একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে বিগত বেশ কিছু সময় থেকে তোলপাড় রাজ্য (West Bengal)। সম্প্রতি এই নিয়োগে দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতেই ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৫৭৩৫ জন। সেই ইস্যুতে যখন উত্তপ্ত রাজ্য, তখন বাম আমলে একটি ক্ষেত্রে নিয়োগ–দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের মামলা।
হাইকোর্টে মামলা-Calcutta High Court
সিপিএম জমানায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করলেন দমদমের এক বাসিন্দা। আশ্চর্যের বিষয় হল মামলাকারী বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন নিজেরই স্ত্রী সহ আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে। যদিও স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ–বিচ্ছেদের মামলা চলছে।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, দুর্নীতি করে অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন তার স্ত্রী সহ কয়েক জন। সেই চাকরি দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন দুই বাম নেতা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তদন্ত শুরুর দাবি তুলেছেন মামলাকারী। সূত্রের খবর, সেই দুই বাম নেতার নাম সূর্যকান্ত মিশ্র এবং বিশ্বনাথ চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন মামলাকারী।
কিভাবে দুর্নীতি? মামলাকারীর দাবি, ২০০৬ সালের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে। ২০০৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক পাশ ব্যক্তিরা এই কাজের যোগ্য। যারা স্নাতক বা তার থেকে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন তারা এই কাজ করতে পারবেন না বলে বলা হয়।
এখানেই তার অভিযোগ, তার স্ত্রী স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি নিয়েও এই চাকরির জন্যে আবেদন করেছিলেন। নিয়মবিরুদ্ধ নিয়োগ হয়। তার স্ত্রী সহ আরও কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী দুই সিপিএম নেতার সাহায্য চাকরি পান বলেও মামলায় দাবি করা হয়েছে। তার দাবি চাকরি প্রাপক সকলেই সিপিএম–সমর্থক পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন: ৫ বিঘার বেশি WAQF জমি জবরদখলের অভিযোগ ফিরহাদের বিরুদ্ধে! রিপোর্টে আসতেই মুখ খুললেন পুরমন্ত্রী
মামলাকারীর দাবি, আগেই তিনি দুর্নীতির বিরোধিতা করে ২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৫ সালে শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী, পুলিশ-সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক স্তরে অভিযোগ জানান। কোনো লাভ না হওয়ায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ তিনি। এফআইআর করার দাবিতে ও সিআইডি তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। তৃণমূল আমলে নিয়োগ দুর্নীতির মাঝে এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।