বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাস্তবের ‘দ্যা কপিল শর্মা সো।’ গুজরাটের (Gujarat) এক থানায় ছিল না কোনও মহিলা কন্সস্টেবল, তাই পুরুষকেই মহিলা কন্সস্টেবল সাজিয়ে তারই ছবি তুলে ‘সিচুয়েশন ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করলো থানার আধিকারিকরা।
কিন্তু কেন এমন ঘটল? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে মহিলা কন্সস্টেবলের পোশাক পরে এক পুরুষ দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কেন এমন ঘটল? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে যা সামনে এলো তাতে মাথা ঘুরে যেতে বাধ্য।
জানা গেল ওই থানার পুলিশ অবৈধ অস্ত্র মজুত এবং ড্রাগস পাচার করার অপরাধে তিনজনকে গ্রফতার করেছে। অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজন ছিল মহিলা। এবার সংবিধান অনুসারে একজন মহিলাকে গ্রেফতার করতে হলে একজন মহিলা কনস্টেবল থাকা আবশ্যক। কিন্তু সেই সময় ওই থানায় কোনও মহিলা কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন না। তাই এক পুরুষ কনস্টেবলকেই উর্দি পড়িয়ে মহিলা সাজিয়ে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলা হয়।
ভারতের গুজরাট নয় : তবে এই ঘটনা গুজরাটের হলেও তা ভারতের গুজরাট নয়, বরং পাকিস্তানের গুজরাটের ঘটনা। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের গুজরাট জেলায় দৌলত নগর থানায় এক মহিলাকে অবৈধ অস্ত্র পাচার ও ড্রাগস মামলায় গেফতার করা হয়। কিন্তু মহিলা কনস্টেবল না থাকায় এক পুরুষকেই সাজতে হয় মহিলা কনস্টেবল। সুবিধা হয় পাশেই বোরখা থাকায়। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা মনে করেছিলেন বোরখা পরে নিয়ে খুব সহজেই পুরুষ থেকে নারী সাজা যায়। কিন্তু বাস্তবে যে সেটা হয় না তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ওই থানার আধিকারিকরা।