বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ উত্তাল হলো মহিষাদল থানা। স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে দেখে কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে এলেন স্বামী। দাবি করলেন, এদের বিয়ে দিয়ে তবেই থানা থেকে যাবেন! জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে মনিরুল সেখের সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় অর্পিতা সামন্তর। তার আগেও অর্পিতার একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় অর্পিতা থাকতেন তার বাপের বাড়ি সুতাহাটায়। নন্দকুমারের বাসিন্দা মনিরুলের সাথে সেখানেই পরিচয় হয় অর্পিতার। সেখান থেকেই শুরু হয় ভালোবাসার। তারপর বিয়ে।
অভিযোগ সবকিছু ঠিকঠাক চললেও কিছুদিন আগে কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অর্পিতা। মনিরুলের দাবি তার বাড়িতে যাতায়াত করত সেই যুবক। আজ অর্পিতাকে কোমরে দড়ি বেঁধে মহিষাদল থানায় নিয়ে আসেন স্বামী মনিরুল। অন্যদিকে একজন সেই ছাত্রকে ধরে নিয়ে যান থানায়। যুবকটি সেই সময় বলেন, কলেজ ছাত্র আমি।থানায় নিয়ে যাবেন না।বিপদ হয়ে যাবে।
মহিষাদল থানার সামনে দাঁড়িয়ে মনিরুল জানিয়েছেন, গত সাত বছর ধরে অর্পিতা আমার সাথে সংসার করছে। আমাদের একটি বাচ্চা মেয়েও আছে। পাড়ার লোক আমাকে বলতো তোমার বউ তোমার অলক্ষে অনেক কিছু করছে। আমি সেই ব্যাপারে ওকে জিজ্ঞেস করলে কোন গুরুত্ব দিতো না। গত শনিবার অর্পিতা বাপের বাড়ি যায়। আমি ফোন করলে জানায় মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে আসবে। এরপর অনেকবার ফোন করলেও আর ফোন তোলেনি। আমি সব জায়গায় ওর খোঁজ করতে থাকি। আজ কলেজ মোড় এলাকায় ওকে ওর প্রেমিকের সাথে হাতেনাতে ধরেছি। তাই থানায় নিয়ে এসেছি ওদের বিয়ে দেব বলে। আমি ওদের থেকে মুক্তি চাই।