বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রূপশ্রী প্রকল্পের (Rupashree Project) সুবিধা পেতে স্ত্রীকে ‘বোন’ এবং শ্বশুরকে ‘বাবা’র পরিচয় দিয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করেন পুরুলিয়ার এক বাসিন্দা। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক অনুমোদন মিলে গেলেও, গোল বেঁধে যায় ‘স্পট ভেরিফিকেশন’-র ক্ষেত্রেই। সেখানেই ধরা পরে যায় তাঁদের কাণ্ডকারখানা।
বিষয়টা হল- পুরুলিয়ার পাড়া থানার শাঁকড়া ‘খ’ গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসেদ এবং তাঁর স্ত্রী সারবানু দুজনে মিলে রূপশ্রী প্রকল্পের পঁচিশ হাজার টাকা হাতানোর প্ল্যান করেন। তাঁদের দুটো সন্তান থাকা সত্ত্বেও, অন্যদের তথ্যের সাহায্যে স্ত্রীকে ‘বোন’ এবং শ্বশুরকে ‘বাবা’র পরিচয় দিয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করেন তাঁরা।
এরপর গত ২২ শে ফেব্রুয়ারি সারবানু আবেদন জানান, আগামী ১৪ ই মার্চ তাঁর বিবাহ রয়েছে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে, তিনি রূপশ্রী প্রকল্পের আয়ত্তায় পঁচিশ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেইসময় ভোটের প্রস্তুতি চলার কারণে আবেদন পড়ায় তাতে সম্মতি দিলেও, ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে পারেনি ব্লক প্রশাসন।
বর্তমানে সময়ে আবেদনের টাকা রিলিজের আগে ‘স্পট ভেরিফিকেশন’ করতে গিয়েই চক্ষু চড়ক গাছ হয় প্রশাসনের। বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে আবেদনকারীর স্বামীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি আবেদনকারী সারবানু এবং তার স্বামী সহ শেখ সালেমহম্মদ, শেখ নিয়ামুদ্দিন, শেখ আলাউদ্দিন, শেখ সরফুদ্দিন ও শেখ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, জাল নথি তৈরির জন্য বাকিদের তথ্য ব্যবহার করেছিলেন অভিযুক্তরা।
এবিষয়ে পাড়ার বিডিও গৌতম মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘রূপশ্রী প্রকল্পের আয়ত্তায় অনুমোদনকারীর টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়ে গেলেও, বিষয়টা একবার খতিয়ে দেখতেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। পুলিশ এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে’।