বাংলাহান্ট ডেস্ক: নাসিরুদ্দিন শাহ, অনুপম খের অভিনীত ‘আ ওয়েডনেসডে’ ছবিতে একটি দৃশ্য ছিল, পুলিশ কমিশনার অনুপমকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তিনি বলছেন, মুম্বই শহরের বিভিন্ন অংশে বোম রেখেছেন এবং বিভিন্ন শর্ত দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ ভাবে তিনি একজন সন্ত্রাসবাদী। এমন ঘটনা সিনেমার পর্দায় দেখা যায়। তবে মাঝে মধ্যে বাস্তব সিনেমার থেকেো অদ্ভুত হয়ে যায়।
তেমনই একটি ‘অদ্ভুত’ ঘটনা ঘটল দিল্লিতে। শুক্রবার সব কিছু স্বাভাবিকই চলছিল। হঠাৎ দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) কাছে একটি ফোন যায়। ফোনটি যায় শঙ্করপুর এলাকার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। ফোনের অন্যপ্রান্তের ব্যক্তি বলেন, “আমি একজন সন্ত্রাসবাদী। আমি থানায় আত্মসমর্পণ করতে চাই। আমায় গ্রেফতার করার পর আপনারা চাইলে ফাঁসি দিয়ে দিতে পারেন।”
এই ফোনের পরেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় দিল্লি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। সত্যিই কি একজন সন্ত্রাসবাদী ফোন করে আত্মসমর্পণ করতে চাইছিল? ওই ব্যক্তি সত্যিই সন্ত্রাসবাদী কিনা তা জানার জন্য প্রযুক্তিগত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ফোনটি কোথা থেকে এসেছিল, তা জানার চেষ্টা শুরু করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। একইসঙ্গে কে ফোনটি করেছিল তাও জানার চেষ্টা করতে থাকেন। তদন্তে জানা যায়, ফোনটি আসে দিল্লির শঙ্করপুর এলাকা থেকে।
সেই মতো গোটা এলাকায় জারি করা হয় সতর্কতা। তদন্ত করতে করতে যিনি ফোন করেছিলেন তাঁর খোঁজ পায় পুলিশ। গোয়েন্দাদের একটি দল চলে যায় তাঁর বাড়ি। গিয়ে তাঁরা দেখেন, যিনি ফোন করেছিলেন তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এরপরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পুলিশ।
অন্যদিকে, আরও একটি মামলায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ঝাড়খণ্ড থেকে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ ছিল। এছাড়াও ২০১৮ সালের মে মাসে দিল্লির মিয়াবলি নগরে একটি খুনের অভিযোগও ছিল ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে। ১৫ বছরের বয়সী এক কিশোরী বেতন চাওয়ায় তাঁকে হত্যা করে শালু টোপনো ওরফে শারু। এরপর ওই কিশোরীর দেহের ৬টি টুকরো করে সেগুলিকে একটি ব্যাগে ভরে নালায় ফেলে দেয়।