স্টেশনে ঘুমোচ্ছেন স্ত্রী, আদর করে মাথায় হাত বোলাচ্ছেন স্বামী! ভাইরাল ভিডিও মন জয় করল সবার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর ও মধুর সম্পর্ক হল স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। যুগে-যুগে সেই পবিত্র ভালোবাসার নানা নিদর্শন আমরা দেখেছি। সেই সম্পর্কের এক আবেগঘন ভিডিও ভাইরাল এবার নেট দুনিয়ায়। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী! আর স্বামী ধৈর্য সহকারে তার কপালে হাত বোলাচ্ছে।

ভালোবাসা বোঝানোর বা উপলব্ধ করার কোন নির্দিষ্ট সময় এবং স্থান কোনোটাই নেই এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা অজস্র ভিডিও একথা বারংবার প্রমাণ করে। সেই তালিকাতেই এবার যুক্ত হল এই দম্পতির ভিডিও।

একজন টুইটার ব্যবহারকারি @Gulzar_sahab দ্বারা পোস্ট করা এই ভিডিও ভালোবাসার বিশুদ্ধতম রূপে প্রেমকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে। ব্যাক্তির টুইট করা সেই একটি ভিডিওতে স্বামী তার ঘুমন্ত স্ত্রীর কপালে শান্তভাবে থাপ দিচ্ছেন। অপরূপ এই দৃশ্যটি সম্ভবত সেখানের স্থানীয় কোনো বাস স্টেশনের।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন পুরুষ ক্লান্ত অবস্থায় বসে রয়েছেন এবং একজন মহিলাকে তার কোলে মাথা রেখে শান্তিতে নিদ্রাচ্ছন্ন । একটি কাপড় মুড়ে স্ত্রী ঘুমোচ্ছেন এর এই দৃশ্যকেই আরোও বিশুদ্ধ ও শান্তিময় করে তুলেছে তার স্বামী শিশুর মতো তার পিঠে এবং কপালে আলতো করে হাত বলচ্ছেন সেই মিষ্টি অঙ্গভঙ্গিটি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড হওয়া মাত্রই ভিডিওটি মানুষকে আবেগাপ্লুত করেছে। মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। পোস্ট হওয়ার পর থেকে ভিডিওটি লাইক এবং রিটুইট সহ 20 হাজারেরও বেশি ভিউস পেয়েছে৷ বলাই বাহুল্য নেটিজেনদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে ভিডিওটি।

একজন টুইটার ব্যবহারকারি ভিডিওটি নিয়ে নিজের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া ভাগ করে লিখেছিলেন, “সঙ্গী কারো জীবনে দেখা যায় না। জীবনের চলার পথে এই দম্পতি একে অপরকে সমর্থন করেছে এবং আনন্দে-দুঃখে একসাথে হেঁটেছে। কিছু মানুষের জীবনে আমরা আত্মার সঙ্গী খুঁজে পাই না। জীবন একজন সত্যিকারের আত্মার সাথীর জন্য চলে।” তার সাথেই আরেকজন লিখেছেন , “সাহি মাইনে মে ইয়াহি জিনে কি কালা হ্যায়।”

https://twitter.com/Gulzar_sahab/status/1594005189123780609?s=20&t=k9r4iUk6gcVDGBDdB8HHjg

সত্যিই তাই! বাস্তব জীবনে এই প্রকার “সত্যিকারের ভালবাসা” চাক্ষুস করা জীবনের বেঁচে থাকার রসদ যোগায়। ভালো থাক এদের ভালোবাসা, বেঁচে থাক এইপ্রকার পবিত্র ভালোবাসা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর