ট্রাফিক পুলিশের সাথে ঝগড়া। হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারালেন ব্যাক্তি।

বাংলা হান্ট ডেস্ক :  এক ব্যাক্তি অভিযোগ জানিয়েছেন যে ,ট্রাফিক আইন ভাঙা নিয়ে এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বচসার পর তাঁর ৩৫ বছরের ছেলের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার সন্ধেয় গাজিয়াবাদে এই ঘটনা ঘটে বলে নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের যে কর্মী এই ঘটনায় যুক্ত তিনিও ওই জেলারই।

IMG 20190910 204309

নিহত যুবক একটি সফটওয়্যার কোম্পানির কর্মী ছিলেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন  তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী চেকিংয়ের তাঁর গাড়ি থামান। নিহতের ৬৫ বছরের বাবা  অভিযোগ করেছেন যে ,ট্রাফিক পুলিশ নতুন মোটর ভেহিকেল আইনে চেকিংয়ের নামে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, সব কিছুরই একটা পদ্ধতি রয়েছে। ট্রাফিক আইন বদলেছে ভালো কথা। গাড়ি পর্যবেক্ষণের জন্য কাউকে নম্রভাবে বলা উচিত পুলিশের। এক্ষেত্রে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কোনও ব্যাপারই ছিল না। গাড়ি দুজন বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। এরপর গাড়িতে ওরা লাঠি দিয়ে আঘাত করে..এটা কোনওভাবেই চেকিং হতে পারে না। আইন এমনটা অনুমোদন করে বলে আমি মনে করি না। একটি ভিডিও ক্লিপে ওই ব্যক্তিকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে যে, সাদা পোশাকের যে লোকটি পর্যবেক্ষণের জন্য এলেন তাঁকে কোনও উচ্চপদস্থ বা এসব পরীক্ষার জন্য ভারপ্রাপ্ত বলে মনে ই হয়নি। ওই ব্যক্তি বলেছেন, সোমবার নয়ডার ৫৮ থানার আধিকারিকরা তাঁর কাছে এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মী যদি  নম্রভাবে কথা বলত তাহলে আমাকে এই দিন দেখতে হত না। আমি আমার ছেলেকে হারালাম। আর আমার পাঁচ বছরের নাতনি হারাল তার বাবাকে। নাতনির ভবিষ্যত নিয়ে ওই ব্যক্তি এখন উদ্বিগ্ন । অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে নয়ডা পুলিশ অভ্যন্তরীণ তদন্ত করেছে। গৌতম বুদ্ধ নগরের সিনিয়র পুলিশ সুপার বৈভব কৃষ্ণ বলেছেন, তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, নিহত ব্যক্তি ডায়াবেটিক ছিলেন। হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়


সম্পর্কিত খবর