বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১২ বছর ধরে শুধু মাত্র পাথর খেয়ে বেঁচে আছে এক ব্যক্তি। বিশ্বাস না হলেও এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে ছত্রিশগড় রাজ্যে। যেখানে এক ব্যক্তি গত ১২ বছর ধরে শুধুমাত্র পাথর খেয়ে জীবন অতিবাহিত করে চলেছে।
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও আজকের ঘটনাটি ছত্রিশগড়ের যশপুর জেলার এবং চমৎকার ঘটানো সেই ব্যক্তিটির নাম সন্তোষ লাকড়া। তবে প্রতিনিয়ত তার পাথর খাওয়ার পেছনে রহস্য কি, তার ব্যাখ্যা দিয়ে ওই ব্যক্তিটি জানায় যে, তার মধ্যে এক ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা রয়েছে এবং এ সকলই ঈশ্বরের আশীর্বাদ। সেই কারণে বিগত বহু বছর ধরে পাথর খেয়ে গেলেও তার শরীরে এর কোনো প্রভাব পরেনি। জানা গিয়েছে, সন্তোষ নামের ব্যক্তিটি এলাকার সকল মানুষের দুঃখ-কষ্ট এবং যাবতীয় যন্ত্রণা দূর করে থাকে।
সে প্রার্থনা করার সময় হাঁটু গেড়ে বসে থাকে এবং তার হাঁটুর নিচে থাকে পাথর। এই প্রার্থনার মাধ্যমে সকল মানুষের দুঃখ, কষ্ট দূর করতে সক্ষম হয় উক্ত ব্যক্তিটি। প্রার্থনা শেষ হলে সেই পাথরটি সে গিলে ফেলে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও দীর্ঘ বহু বছর ধরে এই চমৎকারের সাক্ষী রয়েছে তার পরিবারের লোকেরা। এত পাথর খাওয়ার ফলে স্বভাবতই তার যকৃত ভরে গেছে এসবে। এর ফলে অন্য কোন খাবারও খেতে পারে না সন্তোষ।
সন্তোষের এহেন কাণ্ডে আশ্চর্যিত এবং মুগ্ধ সেই এলাকার বাসিন্দারা। সন্তোষের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায় যে, বিগত বেশ কিছু বছর ধরে সে তার স্বামীকে শুধুমাত্র পাথর খেয়েই বেঁচে থাকতে দেখেছে এবং এই অদ্ভুত কাণ্ডের প্রভাবে যে তার শরীরে কোনো রকম সমস্যা হয়নি এবং কোন ডাক্তারের কাছেও যেতে হয়নি। এর বিজ্ঞানসম্মত কোনো কারণ খুঁজে পায়নি চিকিৎসকরা।
অবসরপ্রাপ্ত সিএমএইচও সিডি বখালার মতে, সন্তোষের এই কাণ্ড এক্ষুনি বন্ধ করা দরকার। নয়তো তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্য কেউ যদি এহেন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে, তবে তার শরীরের অবনতি ঘটতে পারে।