দেখাশোনা করে না ছেলে-বউমা! রাগে সরকারকে দেড় কোটির সম্পত্তি দান বৃদ্ধ চাষির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তার বয়স পেরিয়েছে ৮০। কিন্তু পরিবারের কেউ ঠিকমতো দেখভাল করে না তার। পুত্র, পুত্রবধূ, কন্যা থাকা সত্ত্বেও কেউ তার যত্ন নেয় না। তাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে নিজের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি (Property) এক কৃষক (Farmer) দান করলেন রাজ্যপালকে। জানা গিয়েছে এই কৃষক উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বাসিন্দা। এই কৃষকের নাম নাথু সিং। তিনি উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের বিড়াল গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিনি থাকেন মুজফফরনগরের খাতাউলিয়া একটি বৃদ্ধাশ্রমে। এই কৃষকের বাড়িতে রয়েছে পুত্র ও পুত্রবধূ। এছাড়াও তিন মেয়ে রয়েছে এই কৃষকের। নাথু সিং অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধ বয়সে পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে যে যত্ন পাওয়ার কথা তা তিনি পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে তিনি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন।

এরপর এই কৃষক সিদ্ধান্ত নেন তার যাবতীয় সম্পত্তি রাজ্যপালকে দান করার। প্রথমে তিনি তার সম্পত্তির মাপজোক করান। সে সময় জানা যায় তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা। এরপর বৃদ্ধ এই কৃষক আইনজীবী ডেকে উইল তৈরি করেন। সমস্ত সম্পত্তি তিনি লিখে দেন রাজ্যপালের নামে। এই বৃদ্ধর অনুরোধ,  মৃত্যুর পর স্কুল বা হাসপাতাল নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত করা হোক তার সম্পত্তি।

এই প্রসঙ্গে নাথু সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “এই বৃদ্ধ বয়সে আমার থাকা উচিত ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে। কিন্তু তাদের অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে চলে আসি। থাকতে চেয়েছিলাম মেয়েদের সাথে। কিন্তু তারাও আমার প্রতি যত্নশীল নয়। আমি চাই আমার সম্পত্তি ভালো কাজে ব্যবহার করা হোক।” উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছে, নথিভুক্ত করা হয়েছে এই কৃষকের অনুরোধ। এই কৃষক দান করেছেন একটি বসত বাড়ি ও দশ বিঘা জমি।

অন্যদিকে, বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালিকা রেখা সিং জানান, “পরিবারের সমস্ত সদস্যের উপর মারাত্মক বিরক্ত নাথু সিং। মৃত্যুর পর পরিবারের কেউ যেন শেষকৃত্যে না আসে বলে আগাম জানিয়ে রেখেছেন তিনি।” এই প্রসঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাথুর ইচ্ছা অনুযায়ী তার মৃত্যুর পর এই সম্পত্তি লাগানো হবে সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর