ভেঙেছিল ট্রাফিক আইন, তিন ঘণ্টার জন্য চাকরি দিয়ে অভিনব শাস্তি দিল বাঁকুড়া পুলিশ

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গান্ধীজি বলেছিলেন, ‘যদি তোমায় কেউ এক গালে চড় মারে, তাহলে তাকে অপর গাল বাড়িয়ে দেবে।’ মহাত্মা গান্ধীর দেখানো অহিংসার পথে এবার হাটলো বাঁকুড়া পুলিশ। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীকে অনেকটা গান্ধীগিরি স্টাইলে অভিনব শাস্তি দিল তারা।

আমাদের দেশে সর্বত্রই চোখে পড়ে ট্রাফিক আইন অমান্য করার ঘটনা। ট্রাফিক সিগন্যাল, বিধি- নিষেধের তোয়াক্কা না করেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় বহু মানুষকেই। এর ফলে যেমন সেই চালকের জীবন বিপন্ন হতে পারে, তেমনই পথ চলতি মানুষ বা অন্যান্য যান – বাহনেরও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি এমনি এক ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীকে অভিনব শাস্তি দিল বাঁকুড়া ট্রাফিক পুলিশ।

বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুরের নেতাজি মোড়ে শনিবার সকালে ট্রাফিক পুলিশরা টহল দিচ্ছিলেন। ট্রাফিক ওসি অলকেশ পতির নেতৃত্বে হেলমেট বিহীন বাইক চালকদের ধরতে চলছিল অভিযান। এমনই সময় এক ব্যক্তি ট্রাফিক সিগন্যালের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যান বাইক নিয়ে। এরপর, সেখানকার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশরা ওই ব্যক্তিকে আটকান।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনব কায়দায় শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রাফিক ওসি অলকেশবাবু ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দেন ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ত্ব। রীতিমত হেলমেট পরিয়ে তাকে দিয়ে করানো হয় ট্রাফিক পুলিশের কাজ। ট্রাফিক পুলিশরা যেভাবে রোদে – জলে বছরের ৩৬৫ দিন কষ্টের সাথে নিজেদের কর্তব্য পালন করে থাকেন সেই ‘ আঁচ’ টুকু দিতে এই অভিনব শাস্তি প্রদান করা হয় আইন অমান্যকারীকে।

এই অভিনব শাস্তির ব্যাপারে বলতে গিয়ে ট্রাফিক ওসি অলকেশবাবু জানিয়েছেন, কোতুলপুরের মানুষজন ট্রাফিক আইন মানতে চাননা। এই ব্যাপারে বহুবার সতর্ক করা হলেও কোনো ফল হয়নি। তাই আমরা অভিনব শাস্তি দিয়ে একটা দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলাম।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর

X