বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসেই (independence day) দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেললেন অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে (manali manisha dey)। পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের (abhimanyu mukherjee) সঙ্গে আইনি মতে বাঁধা পড়লেন তিনি। এদিন রেজিস্ট্রি (registry marriage) করেই বিয়ে সেরেছেন মানালি ও অভিমন্যু।
ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। ছিলেন মানালির বাবা, দাদু ও অভিমন্যুর বাবা। অভিমন্যুর মা মুম্বইতে থাকায় এদিন আসতে পারেননি। তবে এখন আপাতত রেজিস্ট্রি বিয়েটা সেরে রাখলেন মানালি ও অভিমন্যু। করোনা বিদায় নিলেই সম্ভবত বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন দুজন।
ঘরোয়া অনুষ্ঠানের সঙ্গে মানানসই ভাবে সেজেছিলেন মানালি। লাল চুড়িদার, কানে ছোট দুল, দুহাতে হালকা চুড়ি ও খোলা চুল। এমনই ছিমছাম সাজে এদিন দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। পাশে অভিমন্যুও পরেছিলেন লাল শার্ট ও জিন্স।
https://www.instagram.com/p/CD6QFx5n6N2/?igshid=1bn2r6f9kph22
https://www.instagram.com/p/B-J0deZnG0g/?igshid=1hlz8tlhy7oxs
পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেক দিনেরই প্রেম মানালির। সপ্তকের সঙ্গে প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর অভিমন্যুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেই থেকে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সম্পর্ক কোনও দিনই লুকিয়ে রাখেননি মানালি অভিমন্যু।
https://www.instagram.com/p/CD3IrM2nB7P/?igshid=10lmfdmh6711h
https://www.instagram.com/p/B3UjnIsnLeY/?igshid=9f8pj5m8orj4
অপরদিকে স্বাধীনতা দিবসেই পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ভারতে এলেন মিথিলা। পরিচালক নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন এই সুখবর। সেই সঙ্গে বেনাপোল সীমান্তে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে সেলফিও শেয়ার করেছেন সৃজিত। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১৯৪৭ এর ১৫ অগাস্ট অনেকে ঘৃণার কারনে সীমানা পেরিয়েছিলেন। ২০২০, ১৫ অগাস্ট, দুজন ভালবাসার জন্য সীমানা পেরোলেন।’
গত বছরের শেষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশি অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। মাত্র কিছুদিনই স্বামীকে কাছে পেয়েছিলেন মিথিলা। তারপরেই বিচ্ছেদ। কারন, সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার ত্রাস। দুজনে এতদিন আটকে ছিলেন দুই দেশে। তাই ভিডিও কলের মাধ্যমেই স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সৃজিত মুখার্জি।
দীর্ঘ লকডাউনে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশেই আটকে পড়েন মিথিলা। অবশেষে স্বাধীনতা দিবসেই পুনর্মিলন হল তাঁদের। জানা গিয়েছে, মেয়ে আইরাকেও কলকাতার একটি নামী স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন সৃজিত মুখার্জি।