বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একটি উত্তেজক ম্যাচের দেখা পেল গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। মঙ্গলবার রাতে প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী স্প্যানিশ দল রিয়াল মাদ্রিদ এবং গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার আপ দল ম্যানচেস্টার সিটি। দুই দলই নিজেদের ঘরোয়া লিগে দুরন্ত ফর্মে ছিল। তাই একটি উপভোগ্য লড়াই আশা করেছিল ফুটবল বিশ্ব। হতাশ করেনি পেপ গুয়ার্দিওয়ালা এবং কার্লো আনসেলোত্তির শিষ্যরা।
চোটের জন্য মাঝেমাঠের গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোকে পায়নি আনসেলোত্তির রিয়াল মাদ্রিদ। উল্টোদিকে সাসপেনশন এবং চোটের কারণে দুই নিয়মিত সাইড ব্যাক জোয়াও ক্যান্সেলো এবং কাইল ওয়াকারকে পায়নি গুয়ার্দিওয়ালার ম্যান সিটি। তাও ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যে রিয়ালকে চমকে দিয়ে মাহারেজের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে সিটিকে এগিয়ে দেন বেলজিয়ান তারকা কেভিন দি ব্রুইন। এরপর ১০ মিনিটের মধ্যে তার পাস থেকেই সিটির দ্বিতীয় গোলটি করে যান ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস। নিজেদের ঘরের মাঠে তখন রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছিল ম্যান সিটি। কয়েকটি নিশ্চিত গোলের সুযোগও নষ্ট করে তারা। কিন্তু এরপর প্রথমার্ধেই খেলার গতির বিরুদ্ধে লেফট ব্যাক মেণ্ডির ক্রস থেকে রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমান দুরন্ত ফর্মে থাকা ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি এর পরে।
দ্বিতীয়ার্ধে দলের ডিফেন্সের সমস্যা দূর করতে সেন্টার ব্যাক ডেভিড আলাবা-কে তুলে নাচোকে মাঠে আনেন আনসেলোত্তি। কিন্তু তাতে কিছু লাভ হয়নি। ৫৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামা রাইট ব্যাক ফার্নানদিনহোর ক্রস থেকে রিয়ালের ডিফেন্সের ভুলে ৩-১ করে দেন তরুণ ব্রিটিশ তারকা ফিল ফোডেন। কিন্তু এরপর আসে ম্যাচের সেরা গোল। ৫৫ মিনিটে মেণ্ডির বল রিসিভ না করেই দুরন্ত টার্নে ফার্নানদিনহোকে বোকা বানিয়ে মাঝমাঠ থেকে দুরন্ত একটা দৌড়ের পর সিটি গোলকিপার এডেরসনকে পরাস্ত করে ৩-২ করে দেন তরুণ প্রতিভাবান ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
এখানেই উত্তেজনা শেষ হয়নি। ভিনিসিয়াসের গোলের ২০ মিনিট পর রেফারির এবং রিয়াল ডিফেন্সের একটি ছোট্ট ভুলের সুযোগ নিয়ে দুরন্ত শটে ৪-২ করে দেন সিটির তারকা পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বের্নার্ডো সিলভা। কিন্তু ৮০ মিনিট নাগাদ সিটি ডিফেন্ডার লাপোর্ট বক্সের ভেতর বল হাতে লাগালে পেনাল্টি পায় রিয়াল, যা থেকে পানেনকা শটে গোল করতে ভুল করেননি বেনজেমা। চলতি মরশুমে ৪১ ম্যাচে ৪১ গোল হয়ে গেল তার। এতিহাদে ৪-৩ ফলেই শেষ হয় প্রথম পর্বের খেলা। পরের সপ্তাহে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় পর্বের খেলায় দুই দলের ম্যানেজারই ডিফেন্সের উন্নতি আশা করবে। সেই সঙ্গে রিয়াল চাইবে তাদের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো সেই ম্যাচে সুস্থ অবস্থায় ৯০ মিনিট মাঠে থাকুক। তিনি থাকলে রিয়ালের ডিফেন্সের অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। কারণ পরের ম্যাচে ম্যান সিটির দুই তারকা সাইড ব্যাক জোয়াও ক্যান্সেলো এবং কাইল ওয়াকার মাঠে থাকবে। তারা যেভাবে আক্রমণ শানায় তা সামাল দিতে গেলে ক্যাসেমিরোর প্রয়োজন হবেই রিয়ালের।