বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতার খুব কাছেই যদি একদিনের ট্যুর করার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে মঙ্গলগঞ্জ হতে পারে আপনার পরবর্তী ডেস্টিনেশন। প্রকৃতির উষ্ণ অভ্যর্থনার সাথে রোমহর্ষক কাটা সাহেবের কুঠির অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মঙ্গলগঞ্জ (Mangalgunj) জায়গাটি অবস্থিত বনগাঁয়।
মঙ্গলগঞ্জে (Mangalgunj) রাত্রিবাস
এই সেই বনগাঁ যেখানে জন্মেছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কালজয়ী সাহিত্যিক। বনগাঁর নাম শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথমে আসে সীমান্ত এলাকার কথা। তবে এই এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে এমন বেশ কিছু ট্যুরিস্ট স্পট রয়েছে যা আপনাকে দিতে পারে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। শিয়ালদা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যেতে পারেন চাকদা স্টেশন।
সেখান থেকে বাসে করে নাটাবেরিয়া। এখানে নেমে টোটো ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন মঙ্গলগঞ্জ (Mangalgunj)। এছাড়াও বনগাঁ স্টেশনে নেমে গাড়ি করে পৌঁছে যাওয়া যায় এই জায়গায়। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের কাছে বেশ ভালো লাগতে পারে মঙ্গলগঞ্জ। তার সাথে যারা প্রকৃতি ভালবাসেন তাদের জন্য এখানে রয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা।
আরোও পড়ুন : ‘মন’র মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে ‘ধন’! খুঁজে পান কিনা দেখুন তো
মঙ্গলগঞ্জের (Mangalgunj) উপর দিয়েই বয়ে গেছে ইছামতী নদী। নৌকা ভাড়া করে সেই নদী পেরিয়ে যেতে পারেন বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে। বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে রয়েছে ২০০’রও বেশি হরিণ , পাখি, খরগোশ, ল্যাঙ্গুর এবং বানর। আপনার সন্ধ্যাবেলা জমে উঠবে ক্যাম্প ফায়ারের সামনে সুস্বাদু কাবাব আর কফির সহযোগে।
রাত্রিবেলা ক্যাম্পে ডিনার করে বেরিয়ে পড়ুন কাটা সাহেবের বাংলো দেখতে। ক্যাম্প থেকেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় গাইডের। গাইডের মুখে রোমহর্ষক ভুতুড়ে কাহিনী শুনতে শুনতে হারিয়ে যাবেন সেই ব্রিটিশ যুগে।মঙ্গলগঞ্জ (Mangalgunj) এলাকায় রয়েছে একাধিক থাকার জায়গা। গুগলে সার্চ করলে বিভিন্ন কটেজ ও ক্যাম্পের সন্ধান পেয়ে যাবেন।