মাস্টার্স এর আগেই Ph.D! কিভাবে সম্ভব? প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির কীর্তি সামনে আসতেই শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তারপর থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য, অভিযোগ উঠে আসে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি মানিকের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে বেতন নেওয়ার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় মানিকেরই কিছু ছাত্র। আর এবার তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়।

স্নাতকোত্তরের আগেই পিএইচডি করে ফেলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। ঠিক এমনই অভিযোগে সরব কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ। তার অভিযোগ, মানিক যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি। মানিকের আমলে কলেজে দুষ্কৃতী আনাগোনা বেড়েছিল বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র টানা জেরা! অবশেষে প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম বলে দিলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান

প্রসঙ্গত, প্রথমে বিজয়গড় স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পরে ১৯৯৮ সালে সেই চাকরি ছেড়ে যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজের প্রিন্সিপ্যাল পদে যোগ দেন। সেই সময়ই প্রশ্ন ওঠে কিভাবে অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তাকে দায়িত্বে বসানো হয়। পরবর্তীতে মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠায় তার ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করে পুলিশ। যদিও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

manik

যোগেশচন্দ্র চৌধুরি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষের আরও অভিযোগ, ‘মানিকের নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। আগে পিএইচডি করে পরে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। অর্থাৎ ওঁ এমকম ফলোড বাই পিএইচডি। এরপর এলএলবি, এলএলএম করে তিনি অধ্যক্ষ হন। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের মাথার উপর রীতিমতো ছাতা ছিলেন মানিক। এমনটাই অভিযোগ।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর