বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। শিক্ষক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। দুদিন আগে বিধায়কের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল নেতা।
কী ঘটেছিল? গত সোমবার আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইডিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন, দেশ-বিদেশের মানিকের যত সম্পত্তি রয়েছে সেসব বাজেয়াপ্ত (Property Seized) করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে ইডিকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি। তার নির্দেশ ছিল, আগামী ১ মাসের মধ্যেই ধৃত মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে।
নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর একে একে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে মানিকের বিরুদ্ধে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ধাপে ধাপে এখনও পর্যন্ত মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন মানিক ভট্টাচার্যকে। তবে আদালত সূত্রে খবর, ৫ লাখ তো দূর এখনও একটি টাকাও হাইকোর্টে জরিমানা হিসেবে জমা দেননি পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক।
সোমবার মানিকের একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেখানেই মানিকের ওপরে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তারপরই দেশ-বিদেশ মিলিয়ে বিধায়কের যত সম্পত্তি রয়েছে সেইসব কিছু আগামী ১ মাসের মধ্যে ইডিকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মানিক ভট্টাচার্য। বিধায়কের অভিযোগ, তাকে বেআইনি ভাবে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও বেআইনি, এমনই দাবি করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করল মানিকের ভট্টাচার্য।