বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভাগ্য বোধহয় কিছুটা সুপ্রসন্ন হল এতদিনে। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় বেশ কিছু দিন আগেই জামিন পেয়েছেন স্ত্রী। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এবার স্বস্তি পেলেন জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নির্দেশ খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের (Justice Soumen Sen) ডিডিশন বেঞ্চ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হেফাজতে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিকেরও। তাঁদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ইডি। এরপর যখন আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে যান, তখন অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক।
প্রায় ৬ মাস বন্দি ছিলেন আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে। ১ লক্ষ টাকা বন্ডে শর্তসাপেক্ষে অবশেষে মানিক-পত্নীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ইডি বিশেষ আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আবেদনকারীকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আবেদনকারী নিজে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যুক্ত নন। আবেদনকারীর বিরুদ্ধে সরাসরি টাকা নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইডি’।
এদিকে টেটের ওএমআর শিট না দেওয়ার অভিযোগ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০১৭ সালের এক পরীক্ষার্থী। সেই মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু জরিমানার টাকা আদালতে জমা দেননি তিনি।
হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ‘যতদিন না জরিমানা দিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা রাখা হবে। দুটি নির্দেশই খারিজ করে দিল হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। মানিকের শনির দশা কি তবে ধীরে ধীরে কাটছ? স্ত্রী জামিনে মুক্তি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালত থেকে ফের স্বস্তির খবর পেলেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চের মানিককে করা জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে জেলবন্দি মানিক অনেকটা স্বস্তি পেলেন বলে মনে করা হচ্ছে।