বাংলাহান্ট ডেস্ক : এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ও সিবিআই (Central Bureau of Investigation) রাজ্যের বিভিন্ন চাকরি দুর্নীতির তদন্ত করছে। সম্প্রতি টেট কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। গত দশ বছরে যে ৫৮ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছিল তার মধ্যে কতজন বেনিয়মে ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন সেই বিষয়টিও এখন খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা।
তদন্ত চলাকালীন ইডির দাবি, ইতিমধ্যেই চাকরির কালো টাকা সরানোর জন্য তৈরি করা ১৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছেন তারা। ইডি মনে করছে, চাকরি দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সরানোর উদ্দেশ্যে মানিক ভট্টাচার্যের অনুপ্রেরণায় তৈরি করা হয়েছিল বহু বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। আপাতত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা হদিশ পেয়েছে ১৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের। কিন্তু তাদের ধারণা এরকম আরো ৫০ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
সম্প্রতি ইডির অফিসারেরা সল্টলেকের মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের একটি অফিসের সন্ধান পেয়েছেন। তারা মনে করছেন এই অফিস থেকেই দুর্নীতির সব প্ল্যানিং হতো। পাশাপাশি টেট দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে কয়েকজনের তালিকাও প্রস্তুত করছে ইডি। এই তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছেন ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা, অপরদিকে রয়েছেনে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
ইডির দাবি, চাকরি দুর্নীতির কালো টাকা সরানোর উদ্দেশ্যেই মানিকবাবু বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। এই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের কিছু আত্মীয়র নামে, আবার কিছু তার পরিবারের বাইরের লোকেদের নামে। ইডির তরফে জানা গেছে তদন্তের জন্য এদের প্রত্যেককেই ডাকা হতে পারে।