এবার মানিক ভট্টাচার্য! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CGO কমপ্লেক্স থেকেই গ্রেফতার করল ED, আদালতের পথে আজই

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আশংকা ছিলই। তাই সত্যি করে এবার গ্রেফতার করা হল মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করল ইডি (Enforcement Directorate)। আজই আদালতে তোলা হবে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি এবং সহযোগিতা না করার অভিযোগ রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে।

গতকাল গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতে মানিক ভট্টাচার্যকে সিজিও কমপ্লেক্সের সাততলায় ইডি-র অফিসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রাত ১টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডির দাবি, তথ্যপ্রমাণ দেখানোর পরেও তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। তথ্য গোপনও করতে চেয়েছিলেন। তার পরই গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, গতরাতে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করার পর ইডির তরফ থেকে তাঁর ছেলেকে ফোন করে জানানো হয়।

মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীরা অবশ্য দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ আছে। তার পরও কীভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়? এর জবাবে ইডি-র আধিকারিকরা বলেন, মানিক ভট্টাচার্যের পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ শুধুমাত্র সিবিআইয়ের মামলায় রয়েছে। তাই ইডি-র তাঁকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই। ইডি-র দাবি, আধিকারিকরা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পেরেছে মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশেই টেট-এর মার্কশিটে পরিবর্তন করা হয়। ওএমআর শিটেও কারচুপি করা হয়। সেই ব্যাপারেও তিনি পুরোটাই জানতেন। মানিক ভট্টাচার্যর কোথায় কী রয়েছে তাই এবার খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা যে চার্জশিটে ইডি পেশ করে সেখানে ছত্রে ছত্রে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে। চার্জশিটে আরও বলা হয়, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মেসেজ করেন তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। সেখানে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বেসরকারি বি এড কলেজ থেকে টাকা তোলা, হুমকি দেওয়া, ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ ছাড়া নদিয়ার টেট পরীক্ষার মাস্টার শিট চেয়ে চেয়ারম্যানকে চাপ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও ছিল বলে জানা যায়।


Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর