বাংলাহান্ট ডেস্ক : উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। মানিক ভট্টাচাৰ্য (Manik Bhattyacharya) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকা কালীন প্রায় ৫৮ হাজার প্রাইমারি শিক্ষক (Primary Teachers) বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছিল, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির (ED)। মানিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আদালতের কাছেও জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছিল, তার মূল অভিযুক্ত হলেন মানিক ভট্টাচাৰ্য। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকা কালীন প্রায় ৫৮ হাজার প্রাইমারি শিক্ষককে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়।
২০১১ সাল থেকে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে,মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন ডিজিটাল ডকুমেন্টস ও এই সম্পর্কিত যাবতীয় নথি। হাওলা টাকার ক্ষেত্রেও মানিক ভট্টাচাৰ্য যুক্ত ছিল। ওই সব ডিজিটাল ডকুমেন্টসেই স্পষ্ট সব কিছু। তাতে অযোগ্য প্রাথীদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়াতে মানিকের ভূমিকা সবার উপরে বলেই দাবি ইডির।
বেআইনি ভাবে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে যে টাকা পেতেন মানিক, সেই টাকা দিয়ে প্রচুর সম্পত্তি কিনেছিলেন মানিক ভট্টাচাৰ্য, ইডি সূত্রে এমনই এমনই জানা যাচ্ছে। তিনিই এই সীমাহীন দুর্নীতির মূল হোতা। পুরো নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গেই মানিকের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির। বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে টাকা এসেছিল মানিক ও তাঁর আত্মীয়দের কাছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রাখা হতো। সেই মানি লন্ডারিং খুঁজে বের করাই এখন মূল লক্ষ্য ইডির।
মানিক ভট্টাচাৰ্যই মূল ষড়যন্ত্রকারী। এই দুর্নীতিতে তার প্রধান ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করছে ইডির। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়। মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছে ইডি। মানিক ভট্টাচাৰ্যকে ইডি হেফাজতে দফায় দফায় জেরা করছে। ইডি জানতে চাইছে এই বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা কোথায় কোথায় রয়েছে।মানিকের সঙ্গে অন্যান্য অপরিচিতদের যে যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে কালো টাকা সাদা করানোর জন্য কী একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে চলছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।