জামিন পেয়েও শান্তি নেই! ফের নয়া মামলায় নাম জড়াল মানিকের, আরও বাড়ল বিপদ?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। প্রায় ২৩ মাস জেল খেটে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জামিন পান মানিক। এবার তাঁকে নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর।

আরও বিপদ বাড়ল মানিকের (Manik Bhattacharya)?

জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতির নাম জড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কোচবিহারের একজন চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মাথাভাঙার এক শিক্ষক দম্পতি। যার জন্য ১৬ লক্ষ টাকা নেন তাঁরা। অনলাইনে সেই অর্থ নেওয়ার পর একটি নথি দিয়ে ওই চাকরিপ্রার্থীকে মানিকের সঙ্গে দেখা করতে বলেন।

অভিযোগকারীর দাবি, অভিযুক্ত দম্পতি তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে এই নিয়ে অভিযোগ নিতে চাইছিল না। তবে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হওয়ার পর মাথাভাঙা থানা এফআইআর করেছে।

আরও পড়ুনঃ ‘আমার মক্কেল অস্ত্র পাচারকারী’! আদালতে সত্যি জানিয়ে বড় ‘তথ্য’ সামনে আনলেন অভিযুক্তেরই আইনজীবী

সম্প্রতি উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলাটি উঠেছিল। গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর পুলিশের তদন্তের অগ্রগ্রতির রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পতির সঙ্গে কথোপকথনের নথি আদালতে জমা করেছেন মামলাকারী ব্যক্তি। সেখানে মানিকের নামের উল্লেখ রয়েছে।

manik bhattacharya

এই মামলায় নিজেই নিজের হয়ে সওয়াল করতে শুনানিতে অংশ নেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগের কথা মানতে চাননি। অন্যদিকে রাজ্যের কৌঁসুলি জানান, ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শিক্ষক দম্পতিকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাঁরা জামিন পেয়েছেন।

নতুন করে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালেও প্রাথমিকে ইডির মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মানিক (Manik Bhattacharya) ও তাঁর স্ত্রী, পুত্র। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে এই নিয়ে কী নির্দেশ দেওয়া হয় সেটাই দেখার।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X