বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) থেকে শুরু করে প্রাথমিক টেটসহ (Primary Tet) একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। সিবিআই (CBI) এবং ইডি (Enforcement Directorate) তদন্ত মাঝে হেফাজতে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রী। সম্প্রতি এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আর এবার এই প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে এলো খাদ্য দফতরের ভূমিকা। এক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র সৌরভের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে খাদ্য দফতরে পৌঁছে যায় ইডি অফিসাররা আর এবার তাদের হাতে উঠে এলো একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
উল্লেখ্য, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অশোক সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মতো একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রী এবং শিক্ষা আধিকারিকরা গ্রেফতার হয়েছেন। সেই তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নাম। ইতিমধ্যে মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য হাতে মিলেছে।
শুধু তাই নয়, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে ইডির নজরে। উল্লেখ্য, মানিক-পুত্র সৌরভ ভট্টাচার্য খাদ্য দফতরের আইটি বিভাগের অন্তর্গত রিফর্ম সেলে অস্থায়ী ডেটা অপারেটর ডিপার্টমেন্টের টিম লিডার পদে নিযুক্ত রয়েছেন। এক্ষেত্রে এই পদে মানিক পুত্র কিভাবে নিয়োগ পত্র পেলেন কিংবা কতই বা তাঁর বেতন, এ সকল তথ্য জানতে মির্জা গালিব স্ট্রিটের খাদ্য দফতরে পৌঁছে যায় তদন্তকারী অফিসাররা। যার পরেই এই মামলায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
উল্লেখ্য, বিগত কিছু সময় ধরে খাদ্য দফতরে ডেটা অপারেটর বিভাগের টিম লিডার পদে কর্মরত রয়েছেন সৌরভ ভট্টাচার্য। এক্ষেত্রে তাঁর নিয়োগ সরাসরি হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। একই সঙ্গে অন্যান্য ডেটা অপারেটরদের বেতন যেখানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৩ হাজার, সেখানে সৌরভের বেতন এক লক্ষ দশ হাজার টাকা! যে খবর সামনে আসতেই ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
এক্ষেত্রে ইডির নজরে আসার পর থেকেই অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন সৌরভ ভট্টাচার্য। তবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পাওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে সৌরভের বেতন শুনে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে গিয়েছে খোদ তদন্তকারী সংস্থারই। খাদ্য দফতরের কর্মীদের দাবি, অতীতে মার্সিডিজ গাড়ি নিয়ে আসার পাশাপাশি বিলাসবহুল ভাবেই থাকতেন সৌরভ ভট্টাচার্য। তবে এক্ষেত্রে তাঁর বেতনের পরিমাণ কত ছিল, সে বিষয়ে তারা জানতেন না বলেই দাবি।
আবার অপরদিকে রিফর্ম সেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান, যেখানে রেশন কার্ড সংযোজন থেকে বাতিল এবং অন্যান্য একাধিক কাজকর্ম করা হয়ে থাকে, সেখানে কিভাবে নিয়োগপত্র পেলেন সৌরভ, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন সৃষ্টি হয়েছে।