বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও বিড়ম্বনার শিকার হলেন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। অর্থের বিনিময়ে ৩২৫ জনকে টেট পাশ করানো হয়েছে এবং এর পিছনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছে ইডি তাঁর বিরুদ্ধে। এখন প্রশ্ন হল, এর থেকে যে বিশাল পরিমাণ অর্থপ্রাপ্তি ঘটত সেটা কোথায় যেতো?
ইডি দাবি করেছে সেই টাকা মানিকের ছোটোভাই, জামাই এবং জামাইয়ের বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। ফলে ইডি মানিকের কাছে পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চায়।
এই বৃহস্পতিবার সেই নিয়ে ব্যাংকশাল কোর্টে দুপুর ১:৩০ থেকে বিকেল ৪টে অব্দি মামলার শুনানি চলে। ওইদিন ইডি মানিকের বিরুদ্ধে ৮টি গুরুতর অভিযোগ আনে। ইডি কেন কারাগারে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, সেই কারণটি উপস্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আইনজীবী।
সেখানেই বলা হয় কীভাবে ২০১৪ সালে ব্যর্থ টেট পরীক্ষার্থীকে শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। সেই বিপুল অর্থের টাকার খোঁজ করতেই ইডি তাঁর পরিবারকে এই কেসের আওতায় রাখতে চায়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মানিকের ছোটভাই, জামাই এবং জামাইয়ের বাবা। ইডি ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় সেই ব্যর্থ ৩২৫ জন পরীক্ষার্থীদের নিয়েও আলোচনা করতে চায় এবং ডিএলএড কলেজে ভর্তি হতেও যে অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে এই নিয়েও ইডি আলোচনা করতে ইচ্ছুক।
একই সঙ্গে মানিকের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বের অভিযোগও তুলে ধরেন ইডির আইনজীবী। ফলে, মানিকের বিরুদ্ধে জোরকদমে এগোচ্ছে ইডির তদন্তকারী দল। মানিকবাবুর কাছে তদন্তকারী দল যতবার গেছিলো তিনি অমান্য ও অস্বীকার করে গেছেন। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যের যে বড়ো বড়ো ব্যক্তিত্বের নাম এই কলেজের সাথে জড়িত।