বাংলা হান্ট ডেস্ক : কোচবিহারের পরিযায়ী শ্রমিক মানিক তালুকদার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel) আটকে পড়েছিলেন। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ভোলার মতো নয়। কিন্তু শেষমেশ বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে তিনিও উদ্ধার হয়েছিলেন। কোচবিহারের (Cooch Behar) বলরামপুরের (Balrampur) বাসিন্দা মানিক তালুকদার (Manik Talukdar)। গত ১২ই নভেম্বর ওই সুড়ঙ্গে বাকি শ্রমিকদের সাথে আটক হয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘ ১৭ দিন অপেক্ষা করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল। নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ফেরার পর কেমন আছেন মানিক?
বাড়ি ফেরার পর তাকে রাজ্যের অনেক নেতা মন্ত্রী কাজের আশ্বাস দিয়েছিলেন। শেষমেশ তাকে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)। যদিও ইনার মতে তিনি মানিকের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। এবং মানিক কোন কোন কাজে পারদর্শী তা-ও জেনেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মানিককে তার কোনও কাজে যোগ দিতে দেখা যায়নি।
এক সাক্ষাৎকারে মানিক তালুকদার বলেছেন, ‘আমার সাথে সরাসরি কেও কোনও কথা বলেননি। আমি যদি সত্যি এই রাজ্যে কাজের প্রস্তাব পেয়ে থাকি তাহলে, নিশ্চয় আমি সেটি নিয়ে ভাববো। আপাতত আমি নিজের পুরনো কাজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
কারণ কাজ না করলে পেট চলবে কি করে। পেট চালাতে গেলে তো কাজ তো করতেই হবে। বাইরে কাজ করে দু-পয়সা হাতে আসলে তিনি হয়তো নিজের ঘরে কিছু টাকাও পাঠাতে পারবেন। তবে তার এখনও পর্যন্ত কোনও কাজের ব্যবস্থা না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সেখানে সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মানিকের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনকে (District Administration) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর সেইমত কাজও হয়েছে। তবে তার কাজের বিষয় নিয়ে তার সাথে তেমনিভাবে কথা না হলেও, আমরা তার জন্য একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেব। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মানিক তালুকদার বেসরকারি কাজে ভালো বেতন পান। তার আয় (Income) ভালো হওয়ার কারণেও হয়তো তিনি নিজের পুরনো কাজে ফিরে যেতে চান। এই মুহূর্তে মানিকের সাথে কথা বলে এটাই জানাগেছে, যে তিনি সেই কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য মনস্থির করে নিয়েছেন। তবে এখানেই শেষ নয় তিনি একথাও জানিয়েছেন, ‘আমার যদি এখানে কোনও কাজের ব্যবস্থা হয়ে যায় তাহলে, আমি ঝুঁকির কাজের দিকে এগোবো না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও কাজের প্রস্তাব আসেনি’।
আপাতত তিনি ২২শে জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ফিরে যাওয়ার কথা ভেবেছেন। উত্তরাখণ্ডের ওই সংস্থার সাথে কথা হওয়ার পর তিনি ওইখানেই ফিরে যেতে চান। তবে এই কয়দিনের মধ্যে যদি রাজ্যের তরফ থেকে তার জন্য কোনও কাজের প্রস্তাব আসে তাহলে, তিনি সেই বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন।