বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ বাংলার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর ৭১ তম জন্মদিন। একদিকে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যা, তখন দিনটা ভালো গেল না এই বর্ষীয়ান অভিনেতার জন্য। একুশের নির্বাচনের আগে ব্রিগেডের ভরা মঞ্চ থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর সাথে সাথেই তার মুখে শোনা গিয়েছিল সুপার হিট সিনেমার চোখা চোখা সব ডায়লগ। যার মধ্যে ভীষণ পরিচিত হয়ে ওঠে, ‘মারবো এখানে লাশ পড়বে শশ্মানে’ কিংবা ‘আমি বালি বোড়াও নই জলঢোঁড়াও নই, জাত গোখরো,এক ছোবলেই ছবি।’ শুধু ব্রিগেডের যোগদান মঞ্চ নয়, বাংলার নানা এলাকায় প্রচার করতে গিয়েও এ ধরনের একাধিক সংলাপ ব্যবহার করেছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই শুরু হয় ভোট-পরবর্তী হিংসা। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, তার পিছনে ছিল এ ধরনের উস্কানি মূলক ভাষণ। সেই মর্মে মানিকতলা থানাতে মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও মামলা খারিজের জন্য ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মহাগুরু। কিন্তু ফলাফল ভালো হয়নি। বিচারক স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে মানিকতলা থানার পুলিশকে তদন্তে সমস্ত সাহায্য করতে হবে মিঠুনকে। অবশেষে এলো সেই দিন, জন্মদিনের দিনেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হলো এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে।
মানিকতলা থানা সূত্রে খবর, তাকে সকাল দশটায় ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদে যোগদান করতে বলা হয়। দশটা কুড়ি নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর তা চলে প্রায় পরবর্তী ৪৫ মিনিট। তার মন্তব্যের বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় মিঠুনকে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে আরও কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের আগে অনেকেই ভেবেছিলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হয়ে উঠতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাকে কোন এলাকা থেকে লড়াই করতে দেখা যায়নি। বরং দলের স্টার প্রচারক হিসেবেই বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছিলেন মিঠুন। তার চোখা চোখা সব ডায়লগ এমনিতে হাততালির বন্যা বইয়ে দেয় দর্শকদের মধ্যে। কিন্তু লালমোহনবাবুর ভাষায় ডায়লগ ছিল ‘ধারালো চাক্কু’, তার জেরেই এমন বিপদে পড়তে হবে মিঠুনকে তা হয়তো ভাবতে পারেননি কেউই।