বাংলা হান্ট ডেস্ক: মণিপুরের (Manipur) জাতিগত সংঘর্ষে কবলিত সিআরপিএফ জাওয়ানরা (CRPF Jawan)। এদিন বাস ভর্তি জাওয়ানদের পুড়িয়ে মারার ছক কষা হল বিজেপি শাসিত মণিপুরে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার অশান্ত হয়ে উঠলো মণিপুরের কাংপোকপি এলাকা। সেনা জাওয়ানদের বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সারা দেশে।
জানা যায়, সোমবার রাতে এলাকায় যখন সিআরপিএফ জওয়ানদের বাস ঢুকেছিল তখন তাদের বাস ঘিরে ধরে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তারপর তারা জওয়ানদের ওই বাস থেকে নেমে আসতে বলেন। এরপর জওয়ানরা বাস থেকে নামতেই তাদের বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, যে বাসে আগুন ধরানো হয়েছিল সেই বাসের চালক মেইতেই সম্প্রদায়ের।
বাসটি মেইতেই সম্প্রদায়ের হওয়ায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জওয়ানদের বাসে আগুন ধরানোর খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেলে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরে অবরোধ সরিয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ধারণা, বাসে আগুন ধরিয়ে জওয়ানদের পুড়িয়ে মারা ছক ছিল।
তাই বাসটি কুকি অধ্যুষিত এলাকায় প্রবেশ করতেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে এদিনের ঘটনায় কারও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি কিংবা কেউ আহত হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনা কারা ঘটাল? তা জানতে ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয়-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে জলদাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, পুড়ে ছাই ঐতিহাসিক বাংলোর ৮ টা ঘর, কিভাবে লাগল আগুন?
জানা যাচ্ছে,ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জাওয়ানদের বসে আগুন লাগানোর খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু ততক্ষণে রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়। পরে যদিও পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে অবরোধ ভেঙে দেয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান জাওয়ানদের বাসে আগুন ধরিয়ে তাদের পুড়িয়ে মারার ছক কষা হয়েছিল।
অন্যদিকে মনিপুরী ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন দেশের কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার নয়া দিল্লিতে অফিসারদের সঙ্গে এই বৈঠকে হিংসায় যারা মদত দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও মেইতেই এবং কুকি—দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গেই খুব তাড়াতাড়ি বৈঠক করার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…