অগ্নিগর্ভ মনিপুর! ১৫০০ উন্মত্ত মানুষ ঘিরে ধরল কয়েক জন ভারতীয় সেনা জওয়ানকে, তারপর…

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে হয়ে গেল প্রায় ২ মাস। অশান্ত মণিপুর (Manipur unrest)। বিক্ষোভের আগুন নেভা তো দূর, ক্রমশই আরও বাড়ছে। কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেনা এবং পুলিসের ধরপাকড় চলছে। গ্রেফতার হয়েছে বহু দুষ্কৃতী। শনিবার মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

সেই রাতেই ইথাম গ্রামে ভারতীয় সেনাকে ঘিরে ধরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অন্তত ১২০০ থেকে ১৫০০ জনের উন্মত্ত জনতার একটি দল। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিল মহিলারা। তারপরেই সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ভয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই গ্রেফতার হওয়া ১২ জন দুষ্কৃতীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী (Army frees 12 militants)।

ভারতীয় সেনার পক্ষ টুইট করে জানানো হয় এই খবর। তারা আরও জানিয়েছে, শনিবারই ইথাম গ্রামের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে মেইতেই গোষ্ঠীর কাঙ্গলেই ইয়াওল কান্না লুপের ১২ জন দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছিল। এই গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরাই ২০১৫ সালে একটি ৬ ডোগরা ইউনিটে অতর্কিত হামলা সহ আরও বেশ কয়েকটি হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত ছিল।

manipur

সেনাবাহিনীর এই অভিযানে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে এদিন দিনভর সক্রিয় ছিল দুষ্কৃতীদের অন্তত ১২০০ থেকে ১৫০০ জনের একটি দল। রাতে যখন আটক হওয়া ওই ১২ জনকে নিয়ে ফিরছিলেন জওয়ানরা, তখন রীতিমতো অস্ত্র নিয়ে সেনার উপর চড়াও হয় তারা। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল বেশ কয়েকজন মহিলা। স্বভাবতই সেনা-দুষ্কৃতী সংঘর্ষের জেরে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, যার কারণে পাল্টা আক্রমণে না গিয়ে আটক করা ওই ১২ জন দুষ্কৃতীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সেনা।

এই সিদ্ধান্তের জন্যই ভারতীয় সেনার পক্ষ ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ভারপ্রাপ্ত কম্যান্ডারের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, ‘এতে করে জনমানসে সেনাবাহিনীর মানবিক মুখ প্রকট হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয় গত ৩ মে, যখন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ তফসিলি উপজাতি হিসেবে তাদের অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবিতে পার্বত্য এলাকাগুলিতে একটি উপজাতি সংহতি মার্চ করেছিল। অন্যদিকে সংরক্ষিত বনভূমি থেকে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষকে উচ্ছেদ করা নিয়ে আগে থেকেই মণিপুর জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির ঘটনা লেগেই ছিল।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর