বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার জন্য দরকার অভিনয় দক্ষতা, রূপ নয়। বলিউডে এটা যে কজন অভিনেতা প্রমাণ করতে পেরেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee)। বড়পর্দা এবং ওয়েব সিরিজ মিলিয়ে মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো বেশ কিছু কাজ করেছেন তিনি। এখনো ডি গ্ল্যাম, ভিন্ন ধরণের চরিত্রের জন্য সবার আগে ডাক পড়ে মনোজেরই।
এমনিতেই অভিনেতাদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকতেই হয় সবসময়। তথাকথিত নায়ক সুলভ না হলেও মনোজ বাজপেয়ীও কিন্তু যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন। বরং বলা ভাল, রীতিমতো কড়া ডায়েট মেনে চলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সকলকে অবাক করে দিয়ে মনোজ জানান, তিনি বিগত ১৪ বছর ধরে ডিনার করেননি!
হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাতের খাবার খাচ্ছেন না মনোজ। দিনের পর দিন ধরে রাতের খাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে মনোজ জানান, যেদিন খুবই খিদে পায় সেদিন সামান্য পরিমাণে খাবার খান। তাও আবার পুষ্টিকর খাবার হলেই সেটা খান তিনি, নয়তো নয়।
কিন্তু অভিনেতার এমনটা করার কারণ কী? মনোজ যে কারণটা জানান তা একই সঙ্গে বেশ অদ্ভূত এবং হাস্যকরও বটে। সাক্ষাৎকারে মনোজ জানান, এক চিকিৎসক তাঁকে জানিয়েছিলেন যে রাতের খাবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে নিতে। নয়তো দেরি করে খেলে খাবারটা হজম না হয়ে পেটেই পড়ে থাকে। ব্যাপারটা শুনে তিনি এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যে ডিনার করাই ছেড়ে দেন পুরোপুরি।
মনোজ আরো জানান, স্বাস্থ্য সচেতনতা নিজের দাদুকে দেখেই শিখেছিলেন তিনি। তাঁর দাদু ছিলেন রোগা পাতলা কিন্তু আদ্যন্ত ফিট একজন মানুষ। তাঁর ডায়েট অনুযায়ীই চলতে শুরু করেন মনোজ। তবে রাতের খাবার বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারটা যতটা সহজ লাগছে ততটা কিন্তু নয়।
অভিনেতা বলেন, শুরুর দিকে তাঁর খুবই সমস্যা হত। রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাসের জন্য প্রথম প্রথম প্রচণ্ড খিদে পেয়ে যেত। তখন পুষ্টিকর বিস্কুট আর প্রচুর জল খেয়ে খিদে মেটাতেন তিনি। এই মূহূর্তে একটি প্রোজেক্টের জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্তই খাবার খান তিনি। উল্লেখ্য একে বলে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। মনোজ জানান, এই ডায়েটের জন্য ৫৪ বছর বয়সে এসেও তাঁর সুগার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের মতো কোনো সমস্যাই নেই।