বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রঞ্জি ট্রফি দ্বিতীয় দিনের শেষে কিছুটা বেকায়দায় পড়লেও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারলো বাংলা। প্রথম দিনের খেলা শেষে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ছিল ছয় উইকেট হারিয়ে ২৭১। সেখান থেকে আরো 70 রান জুড়ে আজ ৩৪১ রান করে অল-আউট হন হিমাংশু মন্ত্রীরা। শতরান (১৬৫) করা হিমাংশু মন্ত্রীকে ফেরান মুকেশ কুমার। তিনি বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পেয়েছেন। এছাড়াও তিনটি উইকেট পেয়েছেন শাহবাজ।
গত ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন বাংলার ব্যাটাররা। কিন্তু এদিন মধ্যপ্রদেশের পেস আক্রমণে সামনে শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে যায় বাংলা। খাতা না খুলেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন অভিষেক রমন। গত ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ১৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা সুদীপ কুমার ঘরামি আজকে আউট হলেন শূন্য রানে। ব্যর্থ হলেন অনুষ্টুপ মজুমদারও (৪)। এই সময়ে ১০ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ঢুকছিল বাংলা ব্যাটিং লাইনআপ।
অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ কে সঙ্গে নিয়ে বাংলার মান বাঁচানোর লড়াই শুরু করেন বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী তথা সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার মনোজ তিওয়ারি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিমুন্যও। ২২ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে আউট হন তিনি। অতিরিক্ত আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে উইকেট হারানো প্রতিভাবান ম্যাচে দুর্দান্ত কিপিং করা কিপার-ব্যাটার অভিষেক পোড়েলও। কিন্তু একদিক সামলে পড়েছিলেন মনোজ। সঙ্গে সঙ্গী হিসেবে পেলেন গত কয়েকবছর ধরে দুরন্ত ফর্মে থাকা শাহবাজ আহমেদ কে।
দিনের শেষে তাদের জুটি বাংলাকে পৌঁছে দিল লড়াই করার মত জায়গায়। প্রিয় দিনের শেষে মনোজ অপরাজিত রয়েছেন ৮৪ রান। শাহবাজ আহমেদ করেছেন ৭২ রান। পায়ের চোট সহ্য করে পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে যেভাবে তিনি ব্যাটিং করলেন, তারপর তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বাংলার সমস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯২। এখনো মধ্যপ্রদেশের থেকে ১৪৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। প্রথম ইনিংসে লিড পেতে গেলে এই দুজনের জুটিকে আবারও একটা দুরন্ত ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি তৈরি করতে হবে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা